সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের উপর আক্রমণের ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। ডায়মন্ড হারবারে এসডিও অফিসের সামনে বিক্ষোভ সভায় যোগ দিয়ে ঘটনার জন্য সরাসরি তৃণমূলকেই দায়ী করেন তিনি। হুঁশিয়ারি দিয়ে বললেন, “ছ’মাস পর নবান্নে বসে সব আক্রমণের শোধ তুলব।” বিজেপি সাংসদের মন্তব্যে তুঙ্গে বিতর্ক।
শমীক ভট্টাচার্যকে (Shamik Bhattacharyya) আক্রমণ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এদিন পুলিশকে একহাত নেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি। বলেন, “পুলিশ অফিসাররা তৃণমূলের গুন্ডাদের রক্ষা করছেন। ছ’মাস পর নবান্নে রাজত্বে এসে সব সুদে-আসলে শোধ নেবো। ওইসব তৃণমূল নেতা, গুন্ডা আর পুলিশ অফিসারদের শ্রীঘরে পাঠাবই। সারাজীবন বউ-বাচ্চার মুখ দেখতে পাবে না ওরা।” এরপরই বিজেপি কর্মীদের মৃত্যুর নেপথ্যেও তৃণমূলের পাশপাশি পুলিশের হাত রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। বলেন, “যে তৃণমূলের নেতা আর পুলিশ এখন বিজেপি কর্মীদের খুন করছে, মারছে, তাদের সাবধান করে দিচ্ছি। ছ’মাস পর আমরাই নবান্নে রাজত্ব করব। কোনও বাপ, আল্লা, ভগবান কেউ বাঁচাতে পারবে না। কুত্তার মতো মারব। খড়গপুরের মতো জায়গায় মাফিয়ারাজ শেষ করে দিয়েছি। সব মাটিতে পুঁতে দিয়েছি। আর এগুলো তো সামান্য। চাকা ঘুরতে শুরু করেছে। কাউকেই তখন শান্তিতে থাকতে দেব না। বাড়ি থেকে বার করে রাস্তায় ফেলে মারব ওই তৃণমূলের গুন্ডাদের। তৃণমূলের পার্টি অফিসে লাগানো হবে বিজেপির পতাকা।”
[আরও পড়ুন: রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের ‘দাদাগিরি’! বিল মেটানোর পরও বিচ্ছিন্ন সংযোগ, অভিযোগকারী শিক্ষককে ‘হুমকি’]
এদিন মনীশ শুক্লা হত্যা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন বিজেপি সাংসদ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে তিনি বলেন, “দিদিভাই পারলে সিবিআই তদন্তের দাবি জানান। কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসবে।” উল্লেখ্য, এদিন পাথরপ্রতিমা থেকে ডায়মন্ড হারবারে ফেরার পথে কয়েকটি জায়গায় তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা কালো পতাকা দেখান দিলীপ ঘোষকে। যদিও সে বিষয়কে পাত্তা দিতে নারাজ রাজ্য বিজেপির সভাপতি। তাঁর কথায়, “কুছ পরোয়া নেহি। অনেক বেশি সংখ্যক বিজেপি কর্মী ফিরতি পথে ফুল ছুঁড়ে অভিবাদন জানিয়েছেন। চাকা ঘুরতে শুরু করেছে বোঝাই যাচ্ছে। সাধারণ কর্মী থেকে নেতা-নেত্রী কেউই আর তৃণমূলে থাকবে না। সকলেই বিজেপিতে আসতে চাইছে। সবাইকেই নেওয়া হবে কিন্তু স্যানিটাইজ করে নেওয়া হবে।”