সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাসের পর মাস ধরে ধর্ষণ (Rape)। সেই সঙ্গে নির্যাতিতার অশ্লীল ছবি ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি। এমনই মারাত্মক অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হল বিহারের (Bihar) এক ডিএসপিকে। অভিযুক্ত সোমেশ মিশ্রকে বৃহস্পতিবার ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ২০ মার্চ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন নির্যাতিতা তরুণী।
ভাগলপুরের সিনিয়র পুলিশ সুপারিটেন্ডেন্ট আশিস ভারতী জানিয়েছেন, অভিযুক্তর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ও ৩২৮ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে এক তরুণীকে ধর্ষণ করেছে। এমনকী, তরুণীর বিয়ের পরেও ব্ল্যাকমেল করে তাঁর উপরে অত্যাচার চালিয়ে গিয়েছে সে। দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যাচ্ছে, নয়াদিল্লিতে সোমেশের সঙ্গে আলাপ নির্যাতিতার। সেই সময় সোমেশ পুলিশে যোগও দেয়নি। এক বন্ধুর বাড়িতে ওই তরুণীর খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে তাঁকে বেহুঁশ করে তাঁর যৌন হেনস্থা করে সে। সেই সঙ্গে তুলে রাখে একটি ভিডিও। ওই ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করে পরবর্তী দেড় বছর ধরে চলে লাগাতার ধর্ষণ। শারীরিক সম্পর্কে রাজি না হলে তাঁর ছবি, ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকে অভিযুক্ত।
[আরও পড়ুন: এস-৪০০ মিসাইল চুক্তির জের, ফাটল ধরছে ভারত-আমেরিকার সম্পর্কে]
স্টেশন হাউস অফিসারের দায়িত্বে থাকা রীতা কুমারীর কথায়, ‘‘বিয়ের পর থেকে ডিএসপির অত্যাচারের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। এমনকী মারধরও করা শুরু হয়। এরপরই ওই তরুণী পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন।’’ তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে পারে সব অভিযোগই সত্যি। এরপরই গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্তকে। প্রসঙ্গত, এই অভিযোগ ওঠার পরই অভিযুক্ত সোমেশকে সাসপেন্ড করেছিল বিহার পুলিশ।
যত দিন যাচ্ছে, ততই বাড়ছে মহিলাদের উপর অত্যাচার। NCRB’র সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, এই মুহূর্তে দেশে প্রতি ১৬ মিনিট অন্তর অন্তর একজন মহিলা ধর্ষিতা হন। শিউরে ওঠার মতো এই পরিসংখ্যান আবারও মনে করাল বিহারের এই ঘটনা। পুলিশের এক কর্তার এমন ঘৃণ্য অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে দেশের নারী নিরাপত্তার করুণ ছবি আবারও স্পষ্ট হল।