ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: মাঝারাতে খবর এল। আর সকালেই দমদম বিমানবন্দরে হাজির ৩ লক্ষ ২৯ হাজার ৪৩০ ডোজ কোভ্যাক্সিন। হায়দরাবাদ থেকে বিশেষ বিমানে ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন বুধবার দুপুরে পৌঁছে গিয়েছে বাগবাজারে স্বাস্থ্য দপ্তরের স্টোরে।
[আরও পড়ুন: স্কুল খুললেও আপাতত বন্ধ রাজ্যের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কবে খুলবে? প্রশ্ন পড়ুয়াদের]
আগে থেকেই ঠিক ছিল, এদিন থেকে কোভিশিল্ডের পাশাপাশি কোভ্যাক্সিন দেওয়া হবে স্বাস্থ্যকর্মীদের। টিকা পাবেন ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কাররাও। সেই অনুযায়ী এদিন এসএসকেএম হাসপাতাল আরজি কর হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজে টিকাকরণের কাজ শুরু হয়েছে, সকালেই টিকা নিয়েছেন রাজ্যে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অধিকর্তা ড. সৌমিত্র মোহন, রাজ্যের স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা ড. দেবাশীষ ভট্টাচার্য-সহ অন্যান্য শীর্ষ স্বাস্থ্যকর্তারা। মূল উদ্দেশ্য একটাই, স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে কোভ্যাক্সিন টিকা নিয়ে যে সমন্যতম সংশয় রয়েছে তা দূর করা। তিন স্বাস্থ্যকর্তারা টিকা নেওয়ার বেশ কিছুক্ষণ পর জানিয়েছেন, তাঁরা সুস্থ আছেন। কোনও সমস্যা নেই। এর আগেই গত রবিবার স্বাস্থ্যদপ্তরের উদ্যোগে ওয়েবিনারে অংশ নিয়ে ড. সূর্যকান্ত, ড. শান্তনু ত্রিপাঠি, ড. শশাঙ্ক যোশীর মতো করোনা ও ভ্যাকসিন বিশেষজ্ঞরা স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ৯০ শতাংশ কার্যকর কোভ্যাক্সিন। টিকা দেওয়ার জায়গাটা ফুলে যাওয়া বা সামান্য জ্বর বা গা হাত-পা ফুলে যাওয়ার মতো সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে তিন দিন পর। তবে এনিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই।
যেহেতু তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে তাই দেশের যাঁরা যাঁরা কোভ্যাক্সিন টিকা নিচ্ছে প্রত্যেকের বয়স, নাম ও ফোননম্বর নথিভুক্ত করছে আইসিএমআর। ফি সপ্তাহে তাঁদের ফোন করে শারীরিক অবস্থার খবর নেওয়া হচ্ছে। রাজ্যেই কাজ করছে নাইসেড এবং উৎপাদনকারী সংস্থা ভারত বায়োটেক। এই তিনটি টিকাগ্রহণ কেন্দ্রে কোভ্যাক্সিনের পাশাপাশি কোভিশিল্ডও থাকছে। যাঁরা কোভ্যাক্সিন নেবেন তাঁদের একটা ডায়েরি দেওয়া হচ্ছে রোজকার শারীরিক অবস্থা নথিভুক্ত করার জন্য। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর, আপাতত তিনটি মেডিক্যাল কলেজে শুরু হলেও রাজ্যের অন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতেও এই ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হবে। এক একটা ভায়াল থেকে ২০ জনকে টিকা দেওয়া সম্ভব। তবে গ্রহীতার সংখ্যা বেশি থাকলে তাঁরাও টিকা পাবেন।