সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতে (India) করোনার নয়া স্ট্রেনের আতঙ্ক, মহারাষ্ট্রে জারি হওয়া এক সপ্তাহের লকডাউনের মাঝেই নতুন সপ্তাহে দেশের করোনা সংক্রমণ সামান্য নিম্নমুখী। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সাম্প্রতিকতম রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা ভাইরাসে (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ১৯৯ জন। রবিবার এই সংখ্যা ছিল ১৪,২৬৪। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার ছোবলে প্রাণ হারিয়েছেন ৮৩ জন। দৈনিক মৃত্যুর হারও কমেছে। একদিনে সুস্থ হয়েছেন ৯৬৯৫ জন। এই সংখ্যা রবিবারের তুলনায় অবশ্য বেশ কম। বেড়েছে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যাও। এই মুহূর্তে দেশে মহামারীতে আক্রান্ত অ্যাকটিভ রোগী দেড় লক্ষ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই মুহূর্তে দেশে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৫৫। মোট মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ৩৮৫ জনের। আর মারণ ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন দেশের ১ কোটি ৬ লক্ষ ৯৯ হাজার ৪১০ জন। অন্যান্য দেশের তুলনায় এই হার বেশ ভাল বলেই দাবি স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞদের। জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে করোনা যুদ্ধে এগিয়ে যেতে দেশজুড়ে টিকাকরণ শুরু হয়েছে। সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন দিয়ে টিকাকরণ চলছে। ইতিমধ্য়েই ১ কোটি ১১ লক্ষ ১৬ হাজার ৮৫৪ জনের শরীরে করোনার প্রতিষেধক প্রয়োগ করা হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া ফলাফল ইতিবাচক বলেই দাবি স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
[আরও পড়ুন: রাজস্থান কংগ্রেসে আরও চওড়া ফাটল, কৃষক সমাবেশ নিয়ে গেহলট-শচীন দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে]
এই মুহূর্তে বিভিন্ন রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ ফের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার পিছনেও করোনার নতুন স্ট্রেনকেই দায়ী করছেন টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা। মহারাষ্ট্রের কোভিড টাস্ক ফোর্সের সদস্য শশাঙ্ক যোশী। এই মুহূর্তে টিকাকরণ হলেও, সুস্থ থাকতে সতর্কতার কোনও বিকল্প নেই বলে জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। কারণ, এখনও হার্ড ইমিউনিটি বা অনাক্রম্যতা তৈরি হয়নি বলে মত তাঁদের।