অভিরূপ দাস: তিনি নিজে করোনা আক্রান্ত (Corona Positive) ! কিন্তু তার মধ্যেই পিপিই কিট পরে ছুটে বেড়ালেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের সুপার স্পেশালিটি বিল্ডিংয়ের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত। এমন ঘটনায় বিস্মিত হাসপাতালের চিকিৎসকরা। তিনি মন্ত্রী নির্মল মাজি। রোগীর পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, যেভাবে করোনা আক্রান্ত হয়েও মন্ত্রী নির্মল মাজি রোগীদের সুবিধা অসুবিধার দিকে নজর রাখছেন, তাতে কোনও ধন্যবাদই যথেষ্ট নয়। তবে কয়েনের উলটোপিঠের মতোই গোটা বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
বেশ কিছুদিন আগে মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ নিয়ে বাঙুর ইন্সটিটিউট অফ নিউরোসায়েন্সে ভরতি হয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী নির্মল মাজি। সামান্য সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার কিছুদিনের মধ্যেই করোনা ধরা পড়ে মন্ত্রীর। ভরতি করা হয় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
[আরও পড়ুন: সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বেশি সংখ্যায় ট্রেন চালানো দরকার, হিসেব কষে বলছে রেল]
রবিবার মেডিক্যাল কলেজেই চিকিৎসাধীন ২ সিনিয়র চিকিৎসকের শ্বাসকষ্ট বাড়ে। সিসিইউ’তে রয়েছেন তাঁরা। পাশাপাশি করোনা আক্রান্ত ২ জুনিয়র চিকিৎসকেরও শ্বাসকষ্ট বাড়ে। খবর পেয়েই দৌড়ে চলে আসেন মন্ত্রী। অসুস্থ চিকিৎসক থেকে শুরু করে রোগীদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের খোঁজ খবর নেন নির্মলবাবু। এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, “রাতে উনি ঘণ্টা তিনেক আমাদের সঙ্গে থাকছেন। ccu-র বাইরে বসে খোঁজখবর নিচ্ছেন। গুরুতর অসুস্থ ৪ চিকিৎসকের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ার পর তবেই নিজের বেডে ফিরেছেন।”
মন্ত্রীর এই ভূমিকায় স্বাভাবিকভাবেই আপ্লুত রোগীর পরিবার থেকে শুরু করে চিকিৎসকরাও। তবে হাসপাতালে যত্রতত্র করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত নির্মলবাবুর ঘুরে বেড়ানো নিয়ে বিতর্কও শুরু হয়েছে। এই প্রসঙ্গে অবশ্য তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, “যে চিকিৎসকরা নিজের জীবন বাজি রেখে মানুষের জীবন বাঁচাচ্ছে তাদের অসুস্থতার সময় তাদের পাশে দাঁড়ানো আমার কর্তব্য বলে মনে করেছি।”