সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে করোনার (Covid-19) দ্বিতীয় ডোজ না নিলে ভ্যাকসিনের ক্ষমতা কমে। একটা সময়ে প্রথম ডোজের কার্যকারিতা শূন্যে নেমে আসতে পারে। কোভ্যাক্সিনের জোগান কমে যাওয়ায় এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা। আবার এর মধ্যেই বেসরকারি টিকাকেন্দ্রের জন্য নয়া নিয়ম চালু করল দুই উৎপাদক সংস্থা। নির্দিষ্ট কোটার বেশি টিকা কিনলে সরাসরি কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হবে।
গত রবিবার রাজ্যে ৪০ হাজার ডোজ কোভ্যাক্সিন আসে। এরপর থেকে হা- পিত্যেশ করে বসে থাকাই সার। গত পাঁচদিনে একটিও কোভ্যাক্সিনের ভায়াল রাজ্যে আসেনি। ফল যা হওয়ার তাই হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কোভ্যাক্সিন না পেয়ে বাড়িমুখো উপভোক্তারা। এই ঘটনায় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন ক্লিনিক্যাল ফার্মাকোলজির বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের অভিমত, নিয়ম অনুযায়ী প্রথম ডোজ নেওয়ার ৪-৬ সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নিতে হয়। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে না নিলে প্রথম ডোজের ক্ষমতা ক্রমশ কমতে শুরু করে। একটা সময়ে প্রথম ডোজের কার্যকারিতা একেবারেই কমে যায়। সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় ডোজকে প্রথম ডোজ হিসাবে ধরা যেতে পারে। ফলে যাঁরা ৪-৬ সপ্তাহ পরেও কোভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারবেন না তাঁদের টিকা কীভাবে হবে তা নিয়ে শুক্রবার জরুরি ভিত্তিতে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে স্বাস্থ্যকর্তারা আলোচনা করেন।
[আরও পড়ুন: মধ্যরাতে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারে ভয়াবহ বিস্ফোরণ গুজরাটে, মৃত ৭]
জানা গিয়েছে, খাস কলকাতার এম আর বাঙুর-সহ একাধিক সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কোভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ডোজ না পেয়ে ফিরে গেছেন অনেকেই। চাহিদা মেটাতে এখনই প্রায় ২ লক্ষ ১৪ হাজার ডোজ কোভ্যাক্সিন দরকার। এরমধ্যে ১ লক্ষ ৭০ হাজার দ্বিতীয় ডোজ এবং বাকিটা যাঁরা প্রথম ডোজের জন্য নাম নথিভুক্ত করেছেন। কিন্তু এই জোগান কবে আসবে তা স্পষ্ট নয় রাজ্য স্বাস্থ্যকর্তাদের কাছে। তবে শুক্রবার রাজ্যে প্রায় পাঁচ লাখ ডোজ কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন আসে। গত মঙ্গলবার এসেছিল প্রায় সাড়ে ৯ লক্ষ ডোজ কোভিশিল্ড। এদিকে সরকারি হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মতো বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমেও টিকার চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্য বলছে, বেসরকারি টিকাকেন্দ্রের জন্য নতুন নিয়ম চালু করেছে ভারত বায়োটেক ও সেরাম ইনস্টিটিউট। যে সব সংস্থা এক বারে ২,৮৮০ ডোজ কোভ্যাক্সিন এবং ৬ হাজার ডোজ কোভিশিল্ড কিনবে তাদের সরাসরি টিকাকেন্দ্রে ভ্যাকসিন পাঠিয়ে দেওয়া হবে। শুক্রবার পর্যন্ত প্রায় ৫ লক্ষ ৩৭ হাজার ৫২০ ডোজ ভ্যাকসিন রাজ্যের ২৪৩টি বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সরাসরি পাঠিয়েছে দুই সংস্থা।