সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচিত হয়েও করোনা প্রতিষেধকের (Corona Vaccine) ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল অধরাই সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Sagar Dutta Medical College and Hospital) । সূত্রের খবর, স্বাস্থ্যদপ্তরের প্রয়োজনীয় অনুমোদন মেলেনি এখনও। তাই নভেম্বরে রাশিয়ার তৈরি করোনা ভ্যাকসিন স্পুটনিক ফাইভের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হওয়া নিয়ে চূড়ান্ত অনিশ্চয়তা। স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, সময় আর হাতে নেই। এখনও স্বাস্থ্যভবনের তরফে সবুজ সংকেত না মিললে আর ট্রায়াল সম্ভব নয়। ফলে আক্ষেপ থাকছেই।
রাশিয়ার তৈরি করোনা ভ্যাকসিন স্পুটনিক ফাইভের (Sputnik V) দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের জন্য ভারতের ৬টি মেডিক্যাল কলেজকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। এ দেশের ভ্যাকসিন তৈরির দায়িত্বে রয়েছে ডক্টর রেড্ডিস ল্যাব। নভেম্বরের একেবারে শুরুতেই তাঁদের বিশেষজ্ঞরা পরিকাঠামো খতিয়ে দেখে কলকাতার কলেজ অফ মেডিসিন অ্যান্ড সাগর দত্ত হাসপাতালে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে সম্মতি দেয়। তবে DGCI, এথিক্স কমিটি এবং রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষা ছিল। নভেম্বরেই এখানে ১২ জনের শরীরে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করার কথা ছিল রুশ করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজটি। কিন্তু স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে এখনও ট্রায়াল নিয়ে কোনও ছাড়পত্র মেলেনি। ফলে এবারের মতো নির্বাচিত হয়েও হয়ত ট্রায়াল থেকে বঞ্চিতই থাকতে হবে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজকে।
[আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন বণ্টনে কী ভাবনা কেন্দ্রর? করোনা টিকা নিয়ে বৈঠকে মোদি-মমতা]
ভ্যাকসিন বিশেষজ্ঞদের মতে, কোনও প্রতিষেধকের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পর তার ফলাফল পেতে খানিকটা সময় দেওয়া প্রয়োজন। তারপরই বোঝা যায়, কতটা কার্যকর হল সেই প্রতিষেধক। সেই হিসেবে স্পুটনিক ফাইভের দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শেষ না হলে, পরবর্তী ধাপে পা রাখা যাবে না। অর্থাৎ তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল শুরু করা যাবে না। ফলে গোটা প্রক্রিয়াটাই অনেকটা পিছিয়ে যাবে, তা এই মুহূর্তে করোনাযুদ্ধকে অনেকটা প্রতিকূলতা বলে মনে করছেন তাঁরা। তাই লাল ফিতের ফাঁসে আর আটকে থাকা নয়, সাগর দত্ত মেডিক্যালে ট্রায়ালের অনুমোদন দেওয়া হলে, তা যেন দ্রুতই দিয়ে দেওয়া হয়। স্বাস্থ্যদপ্তরের কাছে এই আবেদন তাঁদের। কিন্তু স্বাস্থ্যভবনের কর্তারা কি শুনছেন?