স্টাফ রিপোর্টার: পশ্চিমবঙ্গের করোনা পরিস্থিতি সন্তোষজনক। সংক্রমণ কমেছে। মৃত্যু তলানিতে। ভ্যাকসিন প্রাপকের সংখ্যা পাঁচ কোটি। উৎসবের আগে দেশের কোভিড পরিস্থিতি পর্যালোচনায় এই তথ্য উঠে এল। কোভিড (Covid-19) মোকাবিলায় রাজ্যের ভূমিকায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে কেন্দ্রও। আবার এ দিনই রাজ্যে প্রায় ১৩ লক্ষ নাগরিক করোনার টিকার আওতায় এলেন। সব মিলিয়ে রাজ্যের ৫০ শতাংশ মানুষকেই অন্তত প্রথম ডোজ (First Does Vaccine) দেওয়া গিয়েছে।
শনিবার সব রাজ্যের স্বাস্থ্য ও স্বরাষ্ট্র সচিবদের সঙ্গে করোনা সংক্রমণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট ও স্বাস্থ্য সচিব (Health Secretory)। কোন রাজ্যে সংক্রমণ কী অবস্থায়? কোভিড সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য সংগ্রহ করেন কেন্দ্রীয় টিকা শীর্ষকর্তারা। এমনকী কোন রাজ্যে রোজ কতজন ভ্যাকসিনের আওতায় আসছে তারও পরিসংখ্যান জেনে নেন।
[আরও পড়ুন: Babul Supriyo Joins TMC: তৃণমূলে যোগ দেওয়া বাবুল সুপ্রিয়র নিরাপত্তা কমিয়ে দিল কেন্দ্র]
বৈঠকের পর রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রধান সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম জানান,“রাজ্যের করোনা সংক্রমণ যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় ক্যাবনেট (Cabinet Secretory) ও স্বাস্থ্য সচিব।” প্রধান সচিবের কথায়,“সরকারি হাসপাতালে অক্সিজেন পাইপলাইন, শয্যা বাড়ানো, ওষুধ, এইচডিইউ এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ মজুত করা হয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যজুড়ে টিকা কর্মসূচি চলছে। সব মিলিয়ে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে।” উল্লেখ্য, শনিবার রাজ্যের ৫ কোটি নাগরিক করোনার টিকার আওতায় এলেন। এটাও একটা বড় সাফল্য বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
[আরও পড়ুন: টিকাকরণের রেকর্ডের পর করোনা পরিসংখ্যানে স্বস্তি, একধাক্কায় অনেকটা কমল দৈনিক সংক্রমণ]
এই নিয়ে একমাসের মধ্যে দু’বার রাজ্যের ১২ লক্ষের বেশি নাগরিককে করোনার ভ্যাকসিন (Corona Vaccine) দেওয়া হল। তবে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তার প্রশ্ন, “রোজ ১০ লক্ষ নাগরিককে টিকা দেওয়ার মতো পরিকাঠামো আছে। এরজন্য সপ্তাহে ১ কোটি ডোজ দরকার। কিন্তু সেই তুলনায় জোগান কোথায়?” গত ১৬ জানুয়ারি রাজ্যে করোনার ভ্যাকসিন কর্মসূচি শুরু হয়। ২৩ জুন অর্থাৎ ৫৪ দিনের মধ্যে ২ কোটি ডোজ সম্পূর্ণ হয়। আবার ৩১ আগস্ট অর্থাৎ পরবর্তী ২৯ দিনের মাথায় ৪ কোটি মানুষ করোনার টিকা পান। আর এবার ১৮ দিনে ১ কোটি টার্গেট ছুঁল। বস্তুত এটাকে রেকর্ড বলেই মনে করছে স্বাস্থ্য ভবন।