অভিষেক চৌধুরী, কালনা: সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল। অথচ করোনা ওয়ার্ডের অবস্থা দেখে তা বোঝা দুষ্কর। প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে বেডেই পড়ে রইল করোনায় মৃত রোগীর দেহ। কালনা (Kalna) মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে উদাসীন বলে অভিযোগ অন্যান্য রোগীদের। চরম সমস্যায় করোনা আক্রান্ত চিকিৎসাধীন রোগীরা। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, নিয়ম মেনে কোভিডে (COVID-19)মৃত রোগীর দেহ সৎকারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কালনা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের তৃতীয় তলে ঝাঁ-চকচকে করোনা (Coronavirus) ওয়ার্ড। সেখানে ভরতি বড় সংখ্যক কোভিড পজিটিভ রোগী। জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেখানে ভরতি হন এক বৃদ্ধা। শনিবার ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়। এরপর দীর্ঘক্ষণ ধরে মৃতদেহ সেই ওয়ার্ডেই পড়ে রয়েছে বলে অভিযোগ করেন অন্যান্য রোগীরা। কোনও চিকিৎসক বা নার্স আসেননি। অন্য কোনও স্বাস্থ্যকর্মীরও দেখা মেলেনি। তাঁদের আশঙ্কা, এভাবে দেহ পড়ে থাকলে সংক্রমণ ছড়াবে। যাঁরা সুস্থ হয়ে উঠছিলেন, তাঁরা ফের অসুস্থ হয়ে পড়বেন। কেন কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না, তা নিয়ে বেশ ক্ষুব্ধ তাঁরা।
[আরও পড়ুন: শিকেয় করোনাবিধি, কাউন্টিং এজেন্টদের বৈঠকে তুমুল সংঘর্ষে জড়াল বিজেপি-তৃণমূল কর্মীরা]
বিষয়টি নিয়ে কালনা মহকুমা হাসপাতালের সুপার অরূপরতন করণ সংবাদমাধ্যমে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, দীর্ঘক্ষণ করোনা রোগীর মৃতদেহ ফেলে রাখার খবর মোটেই সত্যি নয়। শুক্রবার রাতে ওই বৃদ্ধা আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভরতি হয়েছিলেন। তখনই তাঁর প্রাণে বাঁচার সম্ভাবনা অতি ক্ষীণ ছিল। তা সত্ত্বেও হাসপাতালে যথাযথ চিকিৎসা করা হয়েছে। তবে বাঁচানো যায়নি। শনিবার ভোরে তাঁর মৃ্ত্যু হয়। এরপর নিয়ম মেনে ৪ ঘণ্টা পর পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। তাঁরা জানান, সৎকারের ব্যবস্থা করা পরিবারের পক্ষে সম্ভব না। তাই হাসপাতালই যেন সেই ব্যবস্থা করে। সুপারের দাবি, নিয়ম মেনে ওই বৃদ্ধার মৃতদেহ সৎকারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে হাসপাতালের তরফে।