বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: সাত দফায় হতে চলেছে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন (UP Elections)। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশের সবথেকে বড় রাজ্যে ভোট গ্রহণ পর্ব শুরু হতে চলেছে। গতবারের মতোই এবারও পশ্চিম থেকে পূর্বে ভোটের দিনক্ষণ নির্ধারণ করেছে কমিশন (Election Commission)। কিন্তু এই দফা বিন্যাসেও রয়েছে নিখুঁত রাজনীতির অঙ্ক, এমনটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
প্রথম ও দ্বিতীয় দফার ভোট হবে ১০ ও ১৪ ফেব্রুয়ারি। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে শতাধিক বিধানসভা আসনের ভোট ওই দু’দিনেই। মেরঠ, মুজফরনগর থেকে শুরু করে সাহারনপুর পর্যন্ত, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের বিস্তীর্ণ এলাকা কৃষক আন্দোলনের গড়। কৃষি প্রধান এই এলাকায় কেন্দ্র তথা বিজেপি (BJP) বিরোধী হাওয়া বইছে পুরোদমে। স্বাভাবিকভাবেই এই অঞ্চলের ভোট বিজেপির কাছে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ।
[আরও পড়ুন: ‘কেউ সমর্থন করতে চাইলে স্বাগত’, গোয়ায় তৃণমূলের সঙ্গে জোট প্রসঙ্গে মন্তব্য কংগ্রেসের]
দেশে করোনার (Coronavirus) তৃতীয় ঢেউয়ের মধ্যেই শনিবার নির্বাচন উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছে কমিশন। আগামিদিনে করোনার গ্রাফ আরও যে উঁচুতে উঠতে চলেছে বিশেষজ্ঞ মহল ইতিমধ্যেই সে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। সেক্ষেত্রে প্রথম দু’দফার ভোটে করোনা-গ্রাফ বেশ খানিকটা উপর দিকেই থাকবে। তার প্রভাব ভোটারদের বুথমুখী করার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। ভোটাররা বুথমুখী না হলে যে শাসক শিবিরই সুবিধা পাবে, সংশয় থাকার কথা নয়।
[আরও পড়ুন: COVID-19 Update: দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্ত ১ লক্ষ ৬০ হাজার ছুঁইছুঁই, ১০% ছাড়াল পজিটিভিটি রেট]
শেষ দুই পর্যায়ে ৩ ও ৭ মার্চ পূর্বাঞ্চলের ১০০টি আসনে ভোট। এর মধ্যে নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) লোকসভা কেন্দ্র বারাণসী থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) গড় গোরক্ষপুরের মতো এলাকা রয়েছে। মার্চ নাগাদ দেশের করোনা গ্রাফ নিম্নমুখী হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে সেই সময়ে প্রচারের ক্ষেত্রে কমিশন যে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে, তা উঠে যেতে পারে। করোনা সংক্রমণের হার কমলে ভোটারদের মধ্যে ভোটদানের আগ্রহও স্বাভাবিকভাবেই বৃদ্ধি পাবে। নিজেদের শক্ত ঘাঁটিতে যে সময় ভোট হবে তাতে বিজেপিকে সুবিধা করে দেবে বলেই মত একাংশের।