সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দ্বিতীয় ঢেউয়ে শহরাঞ্চলের পাশাপাশি দেশের গ্রামাঞ্চলেও ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে করোনা (Coronavirus)। শহরের অর্থনীতির পাশাপাশি এবার গ্রামীণ অর্থনীতিতেও মন্দার ছোঁয়া। মহামারীর মারে গ্রাম-শহর নির্বিশেষে কাজ হারিয়েছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। এবার সেই কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়াল কেন্দ্র। অতিমারীতে কর্মহীনদের চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত প্রভিডেন্ট ফান্ডের (Provident Fund) টাকা দেবে কেন্দ্র। শনিবার এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতামরণ। এই সিদ্ধান্তটি অবশ্য ‘আত্মনির্ভর ভারত’ আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণার সময়ই জানিয়েছিল কেন্দ্র। এদিন আরও একবার তা মনে করিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
শনিবার অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, করোনা অতিমারীতে যারা কাজ হারিয়েছেন, ২০২২ সাল পর্যন্ত তাঁদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের গোটা টাকাটাই দেওয়া হবে কেন্দ্রের তরফে। অর্থাৎ, কোম্পানি এবং কর্মী দু’জনের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকাই চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত মেটাবে কেন্দ্র সরকার। তবে, নির্মলা (Nirmala Sitharaman) এদিন আরও একবার চাকরিজীবী এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি সংস্থাগুলিকে কাজে ফিরতে অনুরোধ করেছেন।
[আরও পড়ুন: রাহুল গান্ধীকে ‘ষাঁড়’ বলে কটাক্ষ! কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর অপসারণের দাবি ক্ষুব্ধ কংগ্রেসের]
এদিন নির্মলা সীতারমণ আরও জানিয়েছেন, ভিনরাজ্যে কর্মহীন পরিযায়ী শ্রমিকরা (Migrant Workers) বাড়ি ফিরলে তাঁদের যাতে আর্থিক অনটনে না পড়তে হয়, সেটাও নিশ্চিত করছে কেন্দ্র। সেজন্য বেশ কিছু প্রকল্পও নেওয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রীর দাবি, কোনও একটি জেলায় যদি একসঙ্গে ২৫ হাজারের বেশি পরিযায়ী শ্রমিক কর্মহীন হয়ে ঘরে ফেরেন, তাহলে তাঁদের জন্য ১৬টি প্রকল্প রয়েছে কেন্দ্রের। তাঁরা একসঙ্গে এই ১৬টি প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। শুধু তাই নয়, ১০০ দিনের কাজের খরচের বাজেটও অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্র।
[আরও পড়ুন: Taliban Terror: সোশ্যাল মিডিয়ায় তালিবানের সমর্থনে পোস্ট! অসমে গ্রেপ্তার ১৪]
আসলে, করোনা সংক্রমণ এবং লকডাউনের জেরে ভোগ্যপণ্যের চাহিদা ঠেকেছে তলানিতে। ফলস্বরূপ বড় আর্থিক ক্ষতির মুখে ক্ষুদ্র, ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের বড় অংশ। এই ব্যবসাগুলির সঙ্গে পরোক্ষভাবে জড়িতদের অনেকেরই রোজগার বন্ধ। বন্ধ হয়েছে হাজারো ক্ষুদ্র ও মাঝারি সংস্থা। যার জেরে দেশজুড়ে কর্মহীন লক্ষ লক্ষ মানুষ। সেইসব কর্মহীনদের শেষ সম্বল এই প্রভিডেন্ট ফান্ড। সেটা যাতে বন্ধ না হয় তা নিশ্চিত করতে এবার প্রভিডেন্ট ফান্ডের খরচ বহন করার সিদ্ধান্ত নিল সরকার।