সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উৎসবের মরশুমের মাঝেই স্বস্তি। নতুন সপ্তাহে দেশে দৈনিক করোনা (Coronavirus) সংক্রমণের গ্রাফ নামল অনেকটাই। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত ৩০, ৫৪৮। করোনার ছোবলে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪৩৫জন। যা আগের সপ্তাহের তুলনায় বেশ খানিকটা কম। দৈনিক সংক্রমণের তুলনায় সুস্থতার হারও বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। আর সেটাই ভারতে করোনাযুদ্ধের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হয়ে উঠছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮৮ লক্ষ ৪৫ হাজার ১২৭। এর মধ্যে এই মুহূর্তে অ্যাকটিভ রোগী (Active case) ৪ লক্ষ ৬৫ হাজার ৪৭৮জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার কবল থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন ৪৩,৮৫১ জন রোগী, যা দৈনিক সংক্রমণের তুলনায় প্রায় ১৩,৩০০ বেশি। এনিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ৮২ লক্ষ ৪৯ হাজার ৫৭৯ জন। পরিসংখ্যান আরও বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে প্রায় একই হারে, অর্থাৎ রবিবারের তুলনায় সোমবার ১৩,৭৩৮ জন কম সংক্রমিত হয়েছেন। এই পরিসংখ্য়ানে চোখ রেখে আশার আলো দেখছেন চিকিৎসকরা।
[আরও পডুন: কর্তব্যে গাফিলতি, হাসপাতালের ভুলে মর্গে রাখা মৃতদেহ চলে গেল অন্য পরিবারের হাতে]
আশঙ্কা ছিল, দিওয়ালির মরশুমে বাজি পোড়ানোয় বায়ুদূষণের মাত্রা বাড়ার সঙ্গে করোনা ভাইরাস আরও সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে। হু হু করে বাড়তে পারে সংক্রমণ। সেই আশঙ্কা থেকে এ বছর দিওয়ালিতে বাজি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল বিভিন্ন রাজ্যে। সুপ্রিম কোর্টও তেমনই নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে ভালভাবেই। দিওয়ালির ঠিক পরের সপ্তাহে দেশে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হয়ত তারই সুফল। মারণ ভাইরাসের নতুন করে সক্রিয় হয়ে ওঠার মতো কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।
[আরও পডুন: চিনা পণ্য বয়কট করেও দিওয়ালিতে রেকর্ড ব্যবসা দেশে, বিরাট আর্থিক ক্ষতির মুখে চিন]
আসন্ন শীতে যে ফের একবার করোনা শক্তি দেখাবে, সেই আশঙ্কা রয়েছে এখনও। কিন্তু সুস্থতার ক্রমবর্ধমান এবং সক্রিয় রোগীর সংখ্যা হ্রাস – জোড়া ফলায় বিশেষজ্ঞরাও আশায় বুক বাঁধছেন, দ্বিতীয় ধাক্কাও সামলে নেওয়ার মতো প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে দেশবাসীর।