সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আশঙ্কা ছিল উৎসবের মরশুম শেষে দেশের করোনা পরিসংখ্যান নতুন করে চিন্তা বাড়াতে পারে। দেশে মারণ ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউয়ের হামলার আশঙ্কাও করছিলেন কেউ কেউ। কিন্তু বাস্তব পরিসংখ্যান উলটো কথাই বলছে। উৎসবের শেষে অনেকটাই স্বস্তি দিচ্ছে দেশের পরিসংখ্যান। এই মুহূর্তে দেশের সুস্থতার হার ২০২০ সালের মার্চ মাসের পর সর্বোচ্চ। আবার অ্যাকটিভ কেসও গত ২০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
সার্বিক পরিসংখ্যানে স্বস্তি মিললেও চিন্তা রয়েছে দৈনিক পরিসংখ্যানে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সাম্প্রতিকতম পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করো করোনা ভাইরাসে (Coronavirus) সংক্রমিত হয়েছেন ১১ হাজার ৯১৯ জন। এই সংখ্যাটা আগের দিনের থেকে অনেকটাই বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় অনেকটা বেড়েছে দৈনিক মৃতের সংখ্যাও। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৪৭০ জনের। এখনও পর্যন্ত মহামারীর বলি ৪ লক্ষ ৬৪ হাজার ৬২৩ জন। এই সংখ্যাটাও বেশ চিন্তার।
[আরও পড়ুন: চলতি অর্থবর্ষেই বেসরকারিকরণের পথে আরও ৫-৬টি কেন্দ্রীয় সংস্থা, ইঙ্গিত শীর্ষ আধিকারিকের]
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই মুহূর্তে দেশের অ্যাকটিভ কেস মোট আক্রান্তের ০.৩৭ শতাংশ। যা কিনা ২০২০ সালের মার্চ মাসের পর সর্বনিম্ন। এই মুহূর্তে করোনা অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ ২৮ হাজার ৭৬২ জন। হিসেব বলছে, এখনও পর্যন্ত করোনার কবল থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩ কোটি ৩৮ লক্ষ ৮৫ হাজার ১৩২ জন। আর সুস্থতার হার ৯৮.২৮ শতাংশ। এটাও গতবছর মার্চ মাসের পর সর্বোচ্চ।
[আরও পড়ুন: ধ্বংস হল না সামন্ত সংস্কৃতি! বিদায়ী বার্তায় বিতর্ক উসকে দিলেন প্রধান বিচারপতি]
এখনও দেশের কোভিড গ্রাফের শীর্ষে কেরল। দেশের দৈনিক মোট আক্রান্তের অর্ধেকই সেরাজ্যের। এদিকে জোরকদমে চলছে টিকাকরণের কাজও। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনার টিকা পেয়েছেন ১১৪ কোটি ৪৬ লক্ষ ৩২ হাজার ৮৫১ জন। এর মধ্যে গতকালই টিকা দেওয়া হয়েছে ৭৩ লক্ষের বেশি মানুষকে।