সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিন আগেই WHO নিশ্চিত করেছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট বিএ-২৭৫-এর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে ভারতে। তারপর থেকেই দেশে করোনার চতুর্থ ঢেউ নিয়ে প্রমাদ গোণা শুরু করেছেন বিশেষজ্ঞরা। আশঙ্কা আরও বাড়াচ্ছে দৈনিক করোনা পরিসংখ্যান। পরপর দু’দিন দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাটা ১৯ হাজারের কাছাকাছি থাকল। সেই সঙ্গে উপরের দিকে থাকল অ্যাকটিভ কেস এবং পজিটিভিটি রেটও।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৮১৫ জন। যা কমবেশি আগের দিনের মতোই। বর্তমানে দেশে করোনার অ্যাকটিভ কেস ১ লক্ষ ২২ হাজার ৩৩৫ জন। যা গতকালের থেকে ২ হাজার ৮৭৮ জন বেশি। দেশে অ্যাকটিভ কেস ০.২৮ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত রাজ্যগুলির মধ্যে রয়েছে কেরল, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র এবং বাংলা।
[আরও পড়ুন: ‘নূপুর শর্মার জিভ কাটলেই মিলবে ২ কোটি’, ভিডিও ভাইরাল হতেই পুলিশের জালে অভিযুক্ত]
রিপোর্ট বলছে, একদিনে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৮ জন। এই সংখ্যাটাও কমবেশি আগের দিনের মতোই। দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিডে মোট মৃতের সংখ্যা ৫ লক্ষ ২৫ হাজার ৩৪৩ জন। করোনার দৈনিক আক্রান্তের পাশাপাশি সুস্থতার হারও চিন্তার। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৯ লক্ষ ৩৭ হাজার ৮৭৬ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ১৫ হাজার ৮৯৯ জন। সুস্থতার হার কমের দাঁড়িয়েছে ৯৮.৫১ শতাংশ।
[আরও পড়ুন: জেপি নাড্ডার সঙ্গে কথা, হিমাচল ভোটের আগে কংগ্রেস ছাড়তে পারেন আনন্দ শর্মাও]
কোভিডের সংক্রমণ রুখতে বুস্টার ডোজে জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। স্বস্তির খবর হল, ভারতবাসীর মধ্যে ভ্যাকসিন নিতে তেমন অনীহা নেই। এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ৮৯ শতাংশ ভারতবাসীই করোনার ভ্যাকসিন নিতে আগ্রহী। যদিও বুস্টার ডোজে তেমন আগ্রহ নেই ভারতবাসীর।