সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগেভাগে সতর্কতা সত্ত্বেও শেষরক্ষা হল না। গতকাল মিলেছল ৬ জনের শরীরে। আজ নতুন করে আরও ১৪ জনের শরীরে করোনার নতুন বিলিতি স্ট্রেনের সন্ধান মিলেছে। অর্থাৎ, এখনও পর্যন্ত ভারতে ২০ জন বিলেত ফেরতের শরীরে এই নতুন প্রজাতির করোনা ভাইরাসের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। এঁদের মধ্যেকার এক মহিলা আবার দিল্লি বিমানবন্দরে নেমে সেখান থেকে ট্রেনে চেপে অন্ধ্রপ্রদেশ পর্যন্ত সফর করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ভারতে নামার পর ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাঁর খোঁজ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তিনদিন পর ৪৭ বছর বয়সি ওই মহিলার খোঁজ পাওয়া গেলেও, এই তিনদিনে তিনি কতজনের সংস্পর্শে এসেছেন, সেটা খুঁজে পাওয়া একপ্রকার অসম্ভব কাজ।
নতুন বছর শুরুর আগে দেশে দৈনিক করোনা (CoronaVirus) সংক্রমণ কমলেও থাকল দুঃসংবাদও। ব্রিটেনের ‘সুপার স্প্রেডার’ অতি সংক্রামক স্ট্রেনের ক্রমবর্ধমান সংখ্যাটা আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে কেন্দ্রের জন্যও। প্রায় ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রামক এই স্ট্রেন ঢুকে পড়েছে ভারতেও। এবং সতর্ক না হলে আগামী দিনে দেশে করোনার ‘দ্বিতীয় ঢেউ’ আসতে পারে বলেও ইঙ্গিত মিলেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য অধিকর্তাদের বক্তব্যে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু সতর্কতামূলক পদক্ষেপও শুরু করেছে কেন্দ্র। ব্রিটেনে বিমান যাতায়াতে যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল, তাঁর মেয়াদ আরও সাতদিন বাড়িয়ে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ কমলেও বাড়ছে উদ্বেগ, ৬ জনের দেহে নয়া স্ট্রেনের হদিশ]
গতকাল দেশের করোনা পরিস্থিতি সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সাপ্তাহিক সাংবাদিক বৈঠকে নীতি আয়োগের (স্বাস্থ্য) সদস্য বিনোদ পল (VK Paul) জানিয়েছেন, “নতুন প্রজাতি বিশ্বের অন্য দেশের সঙ্গে ভারতেও ঢুকে পড়েছে। আমাদের অত্যন্ত সতর্ক হতে হবে।” ব্রিটেনের (UK) নতুন প্রজাতির তথ্য সামনে আসার পর ভারতে কয়েক হাজার ‘জিনোম সিকোয়েন্সিং’ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এর মধ্যেই ২০ জনের শরীরে এখনও পর্যন্ত নতুন করোনা স্ট্রেনের সন্ধান মিলেছে। সেই স্ট্রেন দেশে কতটা ছড়িয়েছে, তা জানতেই এখন তৎপর কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, বিদেশ থেকে আগত করোনা পজিটিভের জিনোম সিকোয়েন্স করার পাশাপাশি দেশের করোনা পজিটিভদের পাঁচ শতাংশেরও জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হবে। সুপার স্প্রেডার এই প্রজাতি ছড়িয়ে পড়লে দেশে করোনার ‘সেকেন্ড ওয়েভ’ আসার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে বলেই মনে করছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের আধিকারিকরা।