সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিরোধী দল আরজেডি-র প্রবল চাপে শপথ নেওয়ার মাত্র তিনদিনের মধ্যে দুর্নীতির অভিযোগে নীতীশ কুমার (Nitish Kumar) মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মেওয়ালাল চৌধুরি। এবার খোদ তেজস্বী যাদবের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সুর চড়াল জেডিইউ। তাদের দাবি, দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় তেজস্বী যাদব বিরোধী দলনেতা হতে পারবেন না।
[আরও পড়ুন: থাকছে না কড়াকড়ি, করোনা আবহেও প্রতি বছরের মতোই কুম্ভমেলার আয়োজন প্রশাসনের]
বিহার বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধী মহাজোটের একক বৃহত্তম দল আরজেডির নেতা তেজস্বী যাদবের বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা হবার কথা। শনিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে জেডিইউ সভাপতি বশিষ্ঠ নারায়ণ সিং বলেন, মেওয়ালাল চৌধুরিকে নিয়ে তেজস্বী যাদব যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে আক্রমণ করেছেন তা নিন্দনীয়। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও জানান, তেজস্বী যাদবের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় অভিযোগ রয়েছে। এমনকী এসসি/এসটি আইনেও
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে।
এই বিষয়ে আমরা অবিলম্বে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করার আবেদন জানাচ্ছি। কারণ শাসক দলের বিধায়ক হওয়া সত্ত্বেও সরকারের পক্ষ থেকে মেওয়ালাল চৌধুরির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নীতীশ কুমারের দলের আরও অভিযোগ, গত বিহার বিধানসভা নির্বাচনে রাঘোপুর কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন পত্র দাখিল করার সময় তেজস্বী যাদব (Tejaswi Yadav) তাঁর বিরুদ্ধে থাকা একাধিক মামলার কথা গোপন করেছেন। যে বিষয়ে অবিলম্বে নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক বিহার বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ জোট জয়ী হয়েছে ১২৫ আসনে। যার মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ৭৪ আসন। জেডিইউ ৪৩ আসন। অন্যদিকে বিরোধী মহাজোট পেয়েছে ১১০ আসন। যার মধ্যে আরজেডি একক ভাবে পেয়েছে ৭৫টি আসন। বিধানসভায় তারাই একক বৃহত্তম দল।