শেখর চন্দ্র, আসানসোল: আরও বিপাকে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। গরু পাচার মামলায় তথ্যের খোঁজে এবার তাকে আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে জেরা করবে ইডি। আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে জেরার অনুমতি চেয়ে আবেদন করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ওই আবেদনই মঞ্জুর করে আদালত।
২০২০ সাল থেকেই গরু পাচার মামলায় তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সে বছরই এনামুল হককে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। বর্তমানে তিহার জেলেই ঠাঁই হয়েছে তার। এনামুলের সঙ্গে সায়গলের প্রত্যক্ষ যোগসাজশের প্রমাণ পান তদন্তকারীরা। এরপরই গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের নজরে আসে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। শেষমেশ তাকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। বর্তমানে আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে রয়েছে সে। সূত্রের খবর, সিবিআই সায়গলের প্রায় ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পায়।
[আরও পড়ুন: গার্ডেনরিচ কাণ্ড: টালিচালার বাসিন্দার ব্যাংকে ৩০ কোটি, শহরে স্বয়ংস্ক্রিয় কল সেন্টার, জালিয়াতির জাল কতদূর?]
সায়গল একজন সরকারি কর্মী হওয়া সত্ত্বেও কীভাবে পাহাড় প্রমাণ সম্পত্তির মালিক হলেন, তার উৎস খতিয়ে দেখতে চায় ইডি। সে কারণে তাকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করার আবেদন জানানো হয়। অনুমতি পেতে দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতে আবেদন জানায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তবে আদালত ইডি’র আরজি খারিজ করে দেয়।
এরপর সপ্তাহখানেক আগে আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে সায়গলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়। তবে সেবার আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। এরপর মঙ্গলবার ইডি’র তরফে আবার আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে সায়গলকে জেরার অনুমতির আরজি জানানো হয়। সেই আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। এবার আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে গিয়ে সায়গলকে জেরা করতে পারবে ইডি। তবে কবে জেলে যাবেন ইডি আধিকারিকরা, তা এখনও জানা যায়নি। অনেকেই মনে করছেন, সায়গলকে জেলে গিয়ে জেরা আদতে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতির প্রথম ধাপ। খুব শীঘ্রই ইডি হয়তো অনুব্রত মণ্ডলকেও জিজ্ঞাসাবাদ করার আরজি জানাতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। যদিও এ বিষয়ে এখনও কোনও নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি।