গোবিন্দ রায়: অভিযোগ মিথ্যে হলে বিপদে পড়বেন অভিযোগকারিনী। নওশাদ সিদ্দিকির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা মহিলাকে সতর্ক করল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতির কথায়, অভিযোগ যদি সত্যি না হয় তাহলে অভিযোগকারী বিপদে পড়বেন। উল্লেখ্য, নিরাপত্তা চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিযোগকারিনী।
তাঁর অভিযোগ ছিল, ISF বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির বিরুদ্ধে মুখ খোলার পর থেকেই লাগাতার হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে। তাই নিরাপত্তা দাবিতে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিযোগকারিনী। সেই প্রেক্ষিতে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ” পুলিশ এখনও কেন নিরাপত্তা দেয়নি? তাদের কাছে আবেদন জানানোর পরেও পুলিশ কি মনে করছে নিরাপত্তার দরকার নেই?” রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, পুলিশ নিরাপত্তার বিষয়টা খতিয়ে দেখছে।
[আরও পড়ুন: গলছে বরফ? কানাডার নাগরিকদের জন্য ই-ভিসা চালু করল ভারত!]
এদিকে নওশাদের আইনজীবীর দাবি, “আসলে বিধায়কের জামিন খারিজের এটা একটা চক্রান্ত। বিধানসভার একমাত্র আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ। তাঁকে এবার ডায়মন্ড হারবার লোকসভায় দাঁড় করানোর কথা চলছে। এই আবহে তাঁর জামিন খারিজের চেষ্টায় এটা চক্রান্ত।” তাঁর আরও সংযোজন, “একেবারে মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনার পাঁচ বছর পরে অভিযোগ সামনে আনা হয়েছে।” এর পরই বিচারপতি অভিযোগকারিনীকেও সতর্ক করেছেন।
সবপক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর বিচারপতির নির্দেশ আবেদনকারী মনে করলে বিস্তারিত জানিয়ে নতুন করে নিরাপত্তার জন্য আবেদন করতে পারেন। ডোমকল থানাকে হুমকি সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে হবে। এদিন মামলার নিষ্পত্তি করে দেন বিচারপতি।
[আরও পড়ুন: নিউমোনিয়া সারাতে শিশুকে ৪০ বার লোহার রডের ছ্যাঁকা! অভিযুক্ত মা, ঠাকুরদা-সহ ৩]
প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির (Nawsad Siddique) বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস-সহ একাধিক অভিযোগ তোলেন ডোমকলের এক মহিলা। ধর্ষণ, জোর করে আটকে রাখার অভিযোগ ওই মহিলার। ডোমকলের (Domkal) ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে নওশাদের বিরুদ্ধে ৩৭৬, ৫০৬, ৩৪২, ৪১৭, ৩৪ ধারায় মামলা দায়ের হয়। কলকাতা পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। এই মামলায় আগাম জামিনের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC) দ্বারস্থ হয়েছিলেন নওশাদ। সেই সময় রক্ষাকবচ পেয়েছিলেন তিনি।