ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: প্রায় ৬ ঘণ্টা পর নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নারদ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া রাজ্যের দুই মন্ত্রী-সহ চার হেভিওয়েট নেতাকে নিয়ে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আদালতই নেবে। সাফ জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে সোজা নবান্নে যান তিনি।
ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল ১০টা ৪৫ মিনিট। হন্তদন্ত হয়ে নিজাম প্যালেসে সিবিআই দপ্তরে প্রবেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নারদ কাণ্ডে রাজ্যের দুই মন্ত্রী-সহ চার হেভিওয়েট নেতাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সেখানে হাজির হয়েই সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। দাবি করেন, আগাম নোটিস ছাড়াই বেআইনিভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ফিরহাদ-সুব্রত-মদনদের। তাই তাঁকেও গ্রেপ্তার করতে হবে। তাঁকে গ্রেপ্তার করা না হলে নিজাম প্যালেস ছাড়বেন না বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন মমতা।
[আরও পড়ুন: সুযোগ বুঝে অতিরিক্ত বিল! আর কোভিড রোগী ভরতি নিতে পারবে না রাজ্যের ৩ হাসপাতাল]
সোমবার সকালে নারদ কাণ্ডে গ্রেপ্তার করা হয় রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বিধায়ক মদন মিত্র ও প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য-রাজনীতিতে কার্যত তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। গ্রেপ্তারির খবর পাওয়া মাত্রই নিজাম প্যালেসে যান রত্না চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিমের কন্যা, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ আরও অনেকে। এরপরই আসেন মুখ্যমন্ত্রী। সরাসরি নিজাম প্যালেসের ১৫ তলায় সিবিআই দপ্তরে উঠে যান তিনি। প্রথমে কথা বলেন আইনজীবীদের সঙ্গে। এরপর সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা হয় তাঁর। দাবি করেন, যেভাবে এই চার নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা বেআইনি।
তারপর প্রায় ৬ ঘণ্টা ডিআইজি, সিবিআইয়ের (CBI) ঘরের সামনে কার্যত ধরনা দেন তিনি। মামলাটি ভারচুয়ালি আদালতে পেশ হওয়ার সময়ও নিজাম প্যালেসেই ছিলেন। তারপর বেরিয়ে এসে জানিয়ে দেন, “আমি কিছু বলব না। এ নিয়ে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আদালতই নেবে।”