সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোভিড যোদ্ধাদের (COVID Warriors) সম্মান জানাতে হেলিকপ্টার থেকে ফুল ছোঁড়া হয়েছিল। আত্মবিশ্বাস বাড়াতে ঘটা করে বাজানো হয়েছিল কাঁসর-ঘণ্টাও। কিন্তু সেসব শুধু দেখনদারিই। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে একেবারে অন্য ছবি। করোনা যোদ্ধাদের ন্যূনতম সুরক্ষাও কেড়ে নিল কেন্দ্রের মোদি (Narendra Modi) সরকার। বন্ধ করে দেওয়া হল করোনা যোদ্ধাদের জন্য চালু হওয়া বিমা। গত বছর লকডাউনের পর ডাক্তার-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ৫০ লক্ষ টাকার জীবনবিমার প্রকল্প চালু করেছিল কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ প্যাকেজের (Pradhan Mantri Garib Kalyan Package) আওতায় এই বিমা পরিষেবা চালু করা হয়েছিল।
মহামারীর (CoronaVirus) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কোনও চিকিৎসক, নার্স বা স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যু হলে তাঁর পরিবারকে দেওয়া হত ৫০ লক্ষ টাকা সাহায্য। পুরসভার নিকাশি কর্মী এবং আশা কর্মীদেরও এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত মোট ২৮৭ জন করোনা যোদ্ধার পরিবার এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। তবে, এবার থেকে আর সেই সাহায্য পাবে না করোনা যোদ্ধাদের পরিবার। প্রাথমিকভাবে, ২০২০ সালের ৩০ মার্চ থেকে তিন মাসের জন্য এই বিমার সুবিধা চালু হয়। কিন্তু পরে তার মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২১ সালের ২৪ মার্চ করা হয়। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ সদ্যই সব রাজ্যের মুখ্যসচিবদের চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, ডাক্তার-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীদের জীবনবিমা প্রকল্পের মেয়াদ আর বাড়ানো হচ্ছে না। ২৪ মার্চের আগে কারও মৃত্যু হলে তাঁর পরিবার বিমার (Insurance Cover) টাকা পাবেন। ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত নথি জমা করা যাবে। তারপর থেকে আর সুবিধা মিলবে না। তবে, নতুন করে করোনা যোদ্ধাদের জন্য পরিকল্পনা করা হচ্ছে। যা শীঘ্রই চালু করা হবে।
[আরও পড়ুন: ফের রেকর্ড সংক্রমণ দেশে, একদিনে করোনায় মৃত্যু ১ হাজার ৬১৯ জনের]
দেশে এই মুহূর্তে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় পৌনে ৩ লক্ষ। দৈনিক মৃত্যু পেরিয়ে গিয়েছে ষোলোশো। এই আক্রান্ত এবং মৃতদের মধ্যে একটা বড় অংশ করোনা যোদ্ধা। টিকা নেওয়ার পরও বহু চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীর আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলছে। এসব সত্ত্বেও মৃত্যুভয় উপেক্ষা করেও করোনা যোদ্ধারা দিনরাত সাধারণ মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন। অথচ, এ হেন বিপজ্জনক অবস্থায় করোনা যোদ্ধাদের ন্যূনতম এই সুবিধা তুলে নেওয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে।