সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেলাগাম করোনা সংক্রমণ (Corons Virus)। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় বিধ্বস্ত গোটা দেশ। ব্যতিক্রম নয় এরাজ্যও।প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজারের মতো মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। বাদ যাচ্ছেন না তারকারাও। জিৎ, শুভশ্রী, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় থেকে শুরু করে দিতিপ্রিয়া রায়, শ্রুতি দাসের মতো টেলিভিশন তারকাও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতেই রবিবার সকাল থেকে রাজ্যে জারি হচ্ছে নতুন নির্দেশিকা। ১৬ মে থেকে ৩০ মে পর্যন্ত আপৎকালীন ও জরুরি পরিষেবা ছাড়া বন্ধ থাকবে সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। প্রশাসনিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় এবং বিনোদনমূলক জমায়েতও বন্ধ থাকবে। আর সেই সঙ্গে আবারও বন্ধ হয়ে গেল স্টুডিওপাড়ার দরজা। ৩০ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে শুটিং।
এই প্রসঙ্গে ফোনে অভিনেতা তথা আর্টিস্ট ফোরামের অন্যতম সম্পাদক শান্তিলাল মুখোপাধ্যায় (Shantilal Mukherjee) জানান, আপৎকালীন ও জরুরি পরিষেবা ছাড়া সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান যখন বন্ধ থাকছে এবং প্রাইভেট গাড়ির যাতায়াতও বন্ধ থাকছে, তখন শুটিং বন্ধ হওয়া স্বাভাবিক। এমন পরিস্থিতিতে শিল্পী-কলাকুশলীরা তো শুটিং ফ্লোরে পৌঁছতেই পারবেন না।
এমনিতেই রবিবার বেশিরভাগ জায়গায় শুটিং বন্ধ রাখা হয়। সেদিন আবার সকাল ছ’টা থেকেই নতুন নিয়ম কার্যকর হয়ে যাবে। ফলে সিনেমা এবং সিরিয়ালের শুটিং এই ক’দিন আর করা যাবে না বলেই খবর। করোনা পরিস্থিতির জেরে কিছুদিন আগেই টলিপাড়ার নিয়ম আরও কড়া করেছিল ফেডারেশন। ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস জানিয়েছিলেন, কলাকুশলীদের বেশিরভাগই ‘নো ওয়ার্ক নো পে’ সিস্টেমে কাজ করেন। কাজ বন্ধ হয়ে গেলে তাঁরা বিপদে পড়বেন। সেই কারণে কলাকুশলীদের ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টও শুরু হয়েছিল ভারতলক্ষ্মী স্টুডিওয়। বিনামূল্যে টিকাকরণের কথাও জানিয়েছিলেন স্বরূপ বিশ্বাস। বলেছিলেন, অভিনেতা-অভিনেত্রীরা চাইলে এই পরিষেবার জন্য আবেদন জানাতে পারেন। শনিবারও সেই কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করেন, কলাকুশলীদের স্বার্থে যদি ইন্ডাস্ট্রিতে শুটিং চালিয়ে যাওয়ার বিশেষ অনুমতি দেওয়া হয় সকলে উপকৃত হবেন।
[আরও পড়ুন: ‘মরে গেলে ২ লক্ষ টাকা না দিয়ে হাসপাতাল বানিয়ে দিন’, মুখ্যমন্ত্রীকে লিখলেন শ্রীলেখা]
তবে, সুরক্ষার খাতিরে গোটা রাজ্যে যখন আবার বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, তখন ফের শুটিং বন্ধের পথেই হাঁটতে হল বাংলার বিনোদন জগৎকে। গত বছরের মার্চ মাসে কোভিড ১৯ (COVID-19) ভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার কিছুদিন পরই সারা দেশে লকডাউন ঘোষণা করা হয়ে গিয়েছিল। সেই সময়ও দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল শুটিং। আচমকা লকডাউন ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় তখন অনেক চ্যানেলের কাছে সঞ্চিত এপিসোডই ছিল না। যেটুকু শুটিং করা ছিল, সেই পর্যন্ত ধারাবাহিক চলেছিল। তারপর রামায়ণ, মহাভারতের মতো পুরোনো ধারাবাহিক সম্প্রচার করা হয়েছিল।এবার অনেক চ্যানেলই আগে থেকে প্রস্তুত ছিল বলে খবর। এবার ৩০ মে’র পর পরিস্থিতি কেমন হয়, তার উপরই নির্ভর করছে সমস্ত কিছু।