সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত এপ্রিল-মে মাসে দেশজুড়ে চলতে থাকা করোনার (COVID-19) দ্বিতীয় ঢেউয়ের (Second wave) প্রভাব এখন অনেকটাই স্তিমিত। কিন্তু ফের সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। কেননা কোভিডের R-value বাড়তে শুরু করেছে। যা দেখে চেন্নাইয়ের ‘ইনস্টিটিউট অফ ম্যাথামেটিক্যাল সায়েন্স’-এর গণিতজ্ঞরা সতর্ক করছেন সকলকে। কেননা এই একক হল সংক্রমণ কতটা দ্রুত ছড়াচ্ছে তার মান নির্দেশক। আর তা থেকে পরিষ্কার, আবারও ধীরে ধীরে পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। যদিও এখনও পর্যন্ত বৃদ্ধি সামান্যই। তবু কেন তা বাড়ছে, তা নিয়েই চিন্তার ভাঁজ গবেষকদের কপালে।
ঠিক কী এই ‘আর-ভ্যালু’? এটা এমন এক গাণিতিক একক যার দ্বারা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি বা হ্রাসের হিসেবটা বোঝা যায়। সোজা কথায়, একজন আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে কতজন আক্রান্ত হতে পারেন সেই হিসেবই দেয় আর-ভ্যালু। সেই হিসেব বলছে গত ৩০ জুন যেখানে কোভিড-১৯-এর আর-ভ্যালু ছিল ০.৭৮, সেখানে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহের শেষেই তা বেড়ে হয়েছে ০.৮৮। এখনও এই মান ১-এর নিচে রয়েছে। কমছে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যাও। কিন্তু এর মান বাড়ার অর্থই হল, আগের থেকে অ্যাকটিভ কেস কমার হার কমছে। যা আশঙ্কাজনক। সাধারণ ভাবে নিয়ম হল এই ভ্যালু ১-এর নিচে থেকে গেলে তবেই অতিমারী বিদায় নিতে পারে। কিন্তু গত ৮ জুন থেকে টানা ০.৭৮-এ আটকে থাকলেও এবার ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে ‘আর-ভ্যালু’।
[আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশ দিয়ে শুরু, ২৪-এর আগেই দেশে জন্ম নিয়ন্ত্রণ আইন আনবে মোদি সরকার!]
গত জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে যখন সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ছিল, তখনও একটু একটু করে আর-ভ্যালু বেড়েছিল। ফেব্রুয়ারি থেকে বাড়তে শুরু করে পরে মার্চ থেকে সংক্রমণ তীব্রভাবে বাড়ে। এবার তাই এই মান বাড়তে থাকায় সতর্ক করছেন গবেষকরা।
কিন্তু কেন বাড়ছে আর-ভ্যালু? গবেষক সীতাভ্র সিনহা জানাচ্ছেন, কেরল ও মহারাষ্ট্রে এখনও অ্যাকটিভ কেস চিন্তার কারণ হয়ে রয়েছে। এছাড়াও তামিলনাড়ু, উত্তরাখণ্ডেও আর-ভ্যালু বেড়েছে। সব মিলিয়ে ছবিটা তাই অস্বস্তিকর।