অভিরূপ দাস: মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়েছেন। জয় করেছেন করোনাকে (Corona Virus)। তার পরও সেই আনুবীক্ষণিক জীবাণু তাঁকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। অদম্য সাহস ও জেদকে পাথেয় করে করোনা ওয়ারিয়র (Covid Warriors) হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। এবার সামনে ভোটযুদ্ধ। সেই বৈতরণীও পার করতে যাবেন বলে আশা কলকাতার ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী সুপর্ণা দত্ত। পুরভোটের ময়দানে একেবারে আনকোরা মুখ তিনি।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে তখন টালমাটাল রাজ্য। করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন সুর্পণাও। যমে মানুষে টানাটানির পর সুস্থ হন। কিন্তু ভয় পেয়ে পিছিয়ে যাননি। কাজ করেছেন কোভিড ওয়ারিয়র্স হিসেবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, কোভিড যুদ্ধের যারা জয়লাভ করেছেন তাঁদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। যাঁরা করোনা আক্রান্ত হয়ে লড়ছেন বিভিন্ন হাসপাতালে তাঁদেরকে সাহায্য করবেন এই সব কোভিড যোদ্ধারা। সেই কাজ শুরু করেছিলেন সুপর্ণা। “স্থানীয় বিধায়ক আমায় বলেছিলেন। পিছিয়ে আসিনি”, জানিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: নেতাজি জীবিত না মৃত? কেন্দ্রের কাছে জবাব চাইল কলকাতা হাই কোর্ট]
কোভিড আক্রান্তদের মনের জোর জোগানোর কাজ। এলাকায় পরিচিতি ছড়িয়ে পরে মুহূর্তে। সেখান থেকেই পুরভোটের লড়াইয়ে। সুপর্ণা দত্ত ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের নতুন মুখ। তিন পুরুষের বাস মধ্য কলকাতায়। ভোটে জিতে কী করবেন? সুপর্ণার কথায়, “বিগত পুরবোর্ড প্রচুর কাজ করেছে। এলাকায় সামান্য যা কিছু সমস্যা রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম পরিশ্রুত পানীয় জলের সমস্যা। কিছু রাস্তায় বৃষ্টির জল নামতে সময় লাগে। সেই সমস্যার সমাধান করতে চাই আগামী পাঁচ বছরে।”
পড়াশোনা শুরু হোলি চাইল্ড স্কুলে। সেখান থেকে রামমোহন কলেজ। বঙ্গবাসী কলেজ অফ কমার্স থেকে বাণিজ্য শাখায় পড়াশোনা। সুপর্ণার ভাল লাগার অনেকটা জুড়ে বুদ্ধদেব গুহ, পুর্ণেন্দু পত্রী। সাহিত্য তাঁকে নির্বাচনে লড়ার রশদ জুগিয়েছে। সুপর্ণার কথায়, “একা থাকলে আমার মানুষের জন্য কিছু করতে ইচ্ছে হয়। বুদ্ধদেব গুহ তাঁর লেখায় বলেছেন, মানুষ যখন একেবারে একা থাকে তখন সে যে মানসিক স্তরে থাকে সে আসলে ঠিক সেই স্তরেরই মানুষ।” সেই ‘বুদ্ধ বাণী’কে পাথেয় করে এবার পুরযুদ্ধ উতরে দিতে চান তৃণমূল প্রার্থী সুপর্ণা দত্ত।