সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের কোভিডের (Covid) থাবায় দেশজুড়ে। একদিনেই মারণ ভাইরাসের বলি হলেন ৬জন। তার মধ্যে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) এক ব্যক্তিও। গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন ৭০০ জনেরও বেশি। দেশজুড়ে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যাও চার হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে প্রত্যেক রাজ্যের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। দেশের করোনা (Corona) আক্রান্তের দিকে নজর রাখছে কেন্দ্র। তবে এখনও পর্যন্ত করোনা নিয়ে কোনও নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি।
করোনার নয়া সাব-ভ্যারিয়েন্ট JN.1-এর রূপ নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ বাড়ছে মানুষের মধ্যে। ভারতেও একাধিক রোগীর দেহে মিলেছে এই ভ্যারিয়েন্ট। সবচেয়ে বেশি JN.1 ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছে গুজরাটে। দেশে নয়া ভ্যারিয়েন্টের ৩৩ শতাংশই মিলেছে সেরাজ্যে। এহেন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ভারতী প্রবীণ পওয়ার জানান, প্রত্যেক রাজ্যের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। করোনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ করে সতর্ক থাকতে হবে প্রবীণ নাগরিকদের। তবে এখনই উদ্বেগের কারণ নেই বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
[আরও পড়ুন: মুম্বই হামলার মূলচক্রী হাফিজ সইদকে হেফাজতে চেয়ে পাকিস্তানকে চিঠি ভারতের!]
স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, গত ২৪ ঘণ্টায় ছজনের মৃত্যু হয়েছে গোটা দেশে। তার মধ্যে দুজন মহারাষ্ট্রে। করোনার থাবায় একজন করে প্রাণ হারিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, কর্নাটক ও কেরলে। একদিনে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ৭০২। বর্তমানে দেশের অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৪ হাজারেও বেশি। তার মধ্যে নয়া সাব-ভ্যারিয়েন্ট JN.1 মিলেছে ১০৯ জনের দেহে। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে বলা হয়, এখনও পর্যন্ত এই সাব ভ্যারিয়েন্টে সেরকম ভয়ের কোনও কারণ নেই।
তবে আবারও আইসোলশনের নিয়ম ফিরিয়ে এনেছে কর্নাটক। কোভিড আক্রান্তদের বাড়িতে ৭ দিনের আইসোলেশনে থাকা বাধ্যতামূলক করেছে সেরাজ্যের প্রশাসন। প্রতিদিন ৫ হাজার কোভিড পরীক্ষা করা হবে কর্নাটকে। তবে আপাতত নতুন বছরের উদযাপনে কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। অন্য রাজ্যে যেতেও বাধা নেই। কিন্তু যাঁদের কোমর্বিটি রয়েছে তাঁদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।