সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুধের দাম প্রতি লিটার ২০ থেকে ২৫ টাকা। আর গোমূত্রের দাম? তার থেকেও বেশি। প্রতি লিটার প্রায় ৩০ টাকা। রাজস্থানে এখন রমরমিয়ে বিকোচ্ছে গোমূত্র। পাইকারি বাজারে চাহিদা এতটাই যে দুধ ছেড়ে গোমূত্র সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন গোপালকরা।
[ গো-হত্যা বন্ধ করলেই থামবে গণপিটুনি, বিতর্কিত মন্তব্য আরএসএস নেতার ]
দুধের থেকেও দামি গোমূত্র! হ্যাঁ, ঘটনাচক্রে তাই-ই অবস্থা রাজস্থানে। পালা করে গোশালায় রাত জাগছেন গোপালকরা। এক ফোঁটা গোমূত্রও যেন নষ্ট না হয়। তা ধরে রাখা হচ্ছে। সকাল হলেই বিকিয়ে যাচ্ছে চড়া দামে। আবার কোনও কোনও বিক্রেতা অন্যের ফার্ম থেকে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন গোমূত্র। তারপর তা বিক্রি করছেন বাজারে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে দাম উঠছে লিটারে পঞ্চাশ টাকাও। এই নিয়েই ব্যস্ততার শেষ নেই রাজস্থানে। কিন্তু কেন এত চাহিদা? গোমাতার প্রতি ভক্তি! আপাতত সে ভক্তি বজায় রেখেছেন গোপালকরা। কারণ যা নষ্ট হত, তাও সোনা ফলাচ্ছে। অবশ্য যাঁদের চাহিদা, তাঁরা এসব ভাবছেন না। তাঁদের উদ্দেশ্য আলাদা। অরগ্যানিক ফার্মিংয়ের চাহিদা এখন তুঙ্গে। সে কারণে কৃষকরা রাসায়নিকের বদলে গোমূত্র কিনছেন। গাছ-গাছালি পতঙ্গ থেকে বাঁচাতে গোমূত্রই তাঁদের ভরসা। তাই চড়া দামেই কেনা হচ্ছে লিটার লিটার গোমূত্র। যে কারণে পোয়াবারো গোপালকদের।
উদয়পুরের মহারাণা প্রতাপ ইউনিভার্সিটি অফ এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি অরগ্যানিক ফার্মিংয়ের প্রজেক্ট নিয়েছে। সরকার পরিচালিত এই সংস্থায় মাসে প্রায় ৩০০-৩৫০ লিটার গোমূত্র ব্যবহার করা হচ্ছে। যার জন্য রাজ্যের গোপালকদের উপরই গোমূত্র সরহবরাহের দায়িত্ব পড়েছে। এতে লাভ হচ্ছে দু’দিকে। এক, অরগ্যানিক ফার্মিংয়ের প্রচার হচ্ছে। রাসায়নিকমুক্ত ভাল ফসল পাচ্ছেন অধিবাসীরা। অন্যদিকে গোপালকরাও গোমূত্র বেচে লাভের মুখ দেখছেন। তাই দুধ বিক্রি থেকে মন তুলে এখন গোমূত্র সংগ্রহ করতেই রাত জাগছেন গোপালকরা।
The post ৩০ টাকা প্রতি লিটারে রাজস্থানে রমরমিয়ে বিকোচ্ছে গোমূত্র appeared first on Sangbad Pratidin.