সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গরুর ধর্ম কী? ভাবছেন তো, এ আবার কেমন প্রশ্ন৷ আপনি অবাক হলেও এই প্রশ্নেরই উত্তর পাওয়া গিয়েছে সম্প্রতি৷ উত্তর দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের বারাবাঁকির বিজেপি নেতা রঞ্জিত শ্রীবাস্তব৷ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, গরু হিন্দু ধর্মাবলম্বী৷ মৃত্যুর পর গরুর দেহ মাটিতে না পুঁতে শ্মশানে দাহ করা উচিত বলেও দাবি তাঁর৷ আর বিজেপি নেতার এই দাবিতেই উঠেছে হাসির রোল৷ ‘গোভক্ত’ হিসাবে এভাবেই ওই বিজেপি নেতা নিজের পরিচয় দিলেন বলেই কটাক্ষ বিরোধীদের৷
[আরও পড়ুন:‘উনি আমার বোনের মতো’, সংসদে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন আজম খান]
হিন্দুরা সাধারণত গরুকে দেবতা হিসাবে মানেন৷ উত্তরপ্রদেশের ক্ষেত্রে সে ছবি আরও প্রকট৷ গোরক্ষার তাগিদে বহু পন্থা অবলম্বন করেন ওই রাজ্যের বাসিন্দারা৷ রাজনৈতিক কারবারিদের দাবি, বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশে গোরক্ষার তাগিদ নাকি সবচেয়ে বেশি পদ্মশিবিরের৷ এ নিয়ে যদিও আলোচনা কম হয়নি৷ বিজেপি তবে বিরোধীদের তোলা গোরক্ষার তত্ত্ব মানতে নারাজ৷ কিন্তু দলের বিরুদ্ধে গিয়ে গরু নিয়ে মুখ খুলে দলকে অস্বস্তিতে ফেললেন বারাবাঁকির বিজেপি নেতা রঞ্জিত শ্রীবাস্তব৷
[আরও পড়ুন: বড় ধাক্কা মধ্যবিত্তের, স্বল্প সঞ্চয়ে সুদ কমিয়ে চিন্তা বাড়াল এসবিআই]
তিনি বলেন, ‘‘সাধারণত গরু মারা যাওয়ার পর মাটিতে তার দেহ পুঁতে দেওয়া হয়৷ মুসলমানদের কবর দেওয়ার সঙ্গে এই রীতির মিল রয়েছে৷ কিন্তু গরু হিন্দু ধর্মাবলম্বী৷ তাই তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করার জন্য দেহ পুড়িয়ে দেওয়াই বাঞ্চনীয়৷ আমি আমাদের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে বলব, অবিলম্বে সরকারিভাবে এমন নির্দেশিকা জারি করুন৷ শুধু তাই নয়, আমি বলব গরুদের দাহ করার জন্য পৃথক শ্মশান তৈরি হোক৷ তাতে অবশ্যই থাকতে হবে বৈদ্যুতিন চুল্লিও৷’’
[আরও পড়ুন: বাঘের সংখ্যা বাড়লেও কমছে বাসস্থান, বিশ্ব ব্যঘ্র দিবসে আনন্দের চেয়ে উদ্বেগে বন্যপ্রাণপ্রেমীরা]
তবে রঞ্জিত শ্রীবাস্তবের ‘গোপ্রীতি’ গেরুয়া শিবিরকে বেশ অস্বস্তিতে ফেলেছে৷ বিরোধীদের দাবি, দলের তরফে যতই অস্বীকার করা হোক না কেন৷ বিজেপি নেতাকর্মীরা যে প্রকৃতই গোভক্ত তা আর নতুন করে বলার কিছুই নেই৷ বিজেপি নেতার বেফাঁস মন্তব্য এবং বিরোধীদের আক্রমণে দলের অভ্যন্তরে চাপানউতোর চলছে৷ তবে প্রকাশ্যে এ প্রসঙ্গে কেউ কিছুই বলতে নারাজ৷
The post ‘গরু হিন্দু’! ধর্ম নিয়ে বিজেপি নেতার মন্তব্যে চক্ষু চড়কগাছ appeared first on Sangbad Pratidin.