স্টাফ রিপোর্টার: ৩৪ বছরের বাম সরকারে শেষের দিকের কাজকর্ম নিয়েই বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়েছিল সাধারণ মানুষের মধ্যে। তাই সেই ধরনের বামপন্থা ফিরে আসুক, রাজ্যের মানুষ চাইছে না। এক নতুন বামপন্থাকে চাইছে বাংলার মানুষ।” এমনই মন্তব্য করলেন সিপিআই (এমএল) (CPIML) লিবারেশনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য।
শুক্রবার মৌলালি যুবকেন্দ্রে লিবারেশনের ১২তম রাজ্য সম্মেলন শুরু হয়েছে। চলবে ১৫ মে পর্যন্ত। সম্মেলনের শুরুর দিন উদ্বোধনী ভাষণে সিপিএমকে (CPM) নিশানা করে দীপঙ্করবাবুর স্পষ্ট বক্তব্য, “৩৪ বছরের বামফ্রন্ট সরকার শেষের দিকে গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। জনগণের মধ্যে বামপন্থীদের সম্পর্কে বিরূপ প্রতিক্রিয়া বা মনোভাব তৈরি হয়। তাই নতুনভাবে উঠে আসতে হবে বামপন্থাকে।” একুশের ভোটেও বামেদের আসন শূন্য। এজন্য বাম সরকারের ভূমিকাকে কাঠগড়ায় তুলেছেন দীপঙ্কর।
[আরও পড়ুন: দীর্ঘদিন পর দলীয় কর্মসূচিতে সিপিএম নেতা গৌতম দেব, তুঙ্গে জল্পনা]
বিজেপি ও আরএসএসকে তুলোধোনা করে তাঁর বক্তব্য, বিজেপিকে (BJP) আটকাতে জাতীয় স্তরে বিরাট বিরোধী ঐক্য দরকার। তৃণমূল-কংগ্রেস সহ সকল বিরোধী দলকেই সেই ঐক্যে শামিল হতে হবে। লিবারেশন অবশ্য শুরু থেকেই দাবি করে আসছে বিজেপিকে হারাতে সর্বাত্মক বিরোধী জোট দরকার। সেক্ষেত্রে যে রাজ্যে যে দল শক্তিশালী, সেরাজ্যে তাঁদের নেতৃত্বে বিরোধীদের লড়ার ডাক দিয়েছে বাম মনোভাবাপন্ন দলটি। সেক্ষেত্রে এরাজ্যের সবচেয়ে শক্তিশালী দল তৃণমূলের হাত ধরতেও যে তাঁদের আপত্তি নেই সেটাও আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন দীপঙ্কর ভট্টাচার্যরা (Dipankar Bhattacharya)।
[আরও পড়ুন: ‘দোষ স্বীকার করুক KMRCL’, বউবাজারে মেট্রো প্রকল্পে বিভ্রাটের ঘটনায় ক্ষুব্ধ ফিরহাদ]
২০২১ বিধানসভা ভোটে ‘নো ভোট টু বিজেপি’ ডাক দিয়েছিল লিবারেশন। পার্টির সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্যর সম্মতিতেই এই ডাক দেওয়া হয়। এমনকী তৃণমূলের সঙ্গে বামেদের জোটের পক্ষে সওয়াল করেন দীপঙ্কর ভট্টাচার্য। তা নিয়ে বাদানুবাদে জড়ান বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু ও দীপঙ্কর ভট্টাচার্য। আবার পার্টির এই অবস্থান রাজ্যের বর্তমান শাসকদলকে সুবিধা করে দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করে সিপিআইএমএল (লিবারেশন) তৎকালীন রাজ্য সম্পাদক। লিবারেশনের এই বৈঠকে ছিলেন দলের রাজ্য সম্পাদক অভিজিৎ মজুমদার, পার্থ ঘোষ, কার্তিক পাল, স্বদেশ ভট্টাচার্য। তাহলে বাংলার ক্ষেত্রে পার্টি কী অবস্থান বদল করবে নাকি পুরনো অবস্থানেই থাকবে। সেটাই এবারের রাজ্য সম্মেলনের মূল আলোচ্য বিষয়।