স্টাফ রিপোর্টার: বাম পরিষদীয় দলের নির্দেশ উপেক্ষা করে কংগ্রেসের মিছিলে হাজির হয়ে ফ্রন্টে শোরগোল ফেলে দিলেন দমদম উত্তরের সিপিএম বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য৷ ব্যক্তিগতভাবে মিছিলে গিয়েছিলেন বলে দাবি তাঁর৷ বাম শরিকদের অবশ্য বক্তব্য, বামফ্রন্টে ব্যক্তিগত কিছু হয় না৷ তন্ময়কে ডেকে গোটা বিষয়ের জবাব চাইবেন বলে জানিয়েছেন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী৷
২২ জুন শরিকি চাপে বামফ্রন্টের মিছিলে কংগ্রেসকে ডাকেনি সিপিএম৷ তারপর কংগ্রেসের মিছিলে সিপিএমকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও সূর্যকান্ত মিশ্র জানিয়ে দেন, তিনি যাবেন না৷ এর পর শুক্রবার বিধানসভায় বাম পরিষদীয় দলের বৈঠকেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, কংগ্রেসের মিছিলে যাওয়া হবে না৷ কিন্তু ২৪ ঘন্টার মধ্যেই উল্টে গেল গোটা ছবিটা৷ শনিবার মৌলালির রামলীলা ময়দান থেকে ধর্মতলার গান্ধীমূর্তি পর্যন্ত মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে মিছিল করে কংগ্রেস৷ সেই মিছিলেই দলের নির্দেশ উপেক্ষা করে অধীর, সোমেন, প্রদীপ, মানস, মান্নানদের সঙ্গে পা মেলান তন্ময়৷
বিধানসভার অধিবেশনে নিজের বক্তব্য রেখে তড়িঘড়ি কংগ্রেসের মিছিলে চলে যান দমদম উত্তরের সিপিএম বিধায়ক৷ তাঁর বক্তব্য, “কংগ্রেসের মিছিলের ইস্যুটাকে গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে৷ তাই ব্যক্তিগতভাবেই গিয়েছি৷ আর ২ মাস আগে জোট ছিল৷ ২ মাসের মধ্যে জোট ভেঙে গিয়েছে এটা হতে পারে না৷ তাতে ভুল বার্তা যাবে৷”
একজন নতুন বিধায়ক কীভাবে ফ্রন্টের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে অন্য পথ নিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে৷ আরএসপি বিধায়ক বিশ্বনাথ চৌধুরি বিধানসভা চত্বরে দাঁড়িয়েই তন্ময়ের কড়া সমালোচনা করে বলেন, “বামফ্রন্টের পরিষদীয় দলের যে সিদ্ধান্ত তা সকলকে মানতে হবে৷ ব্যক্তিগত বলে কোনও কথা হয় না৷ তন্ময় ভট্টাচার্য সঠিক কাজ করেননি৷ দলের রাজ্য সম্পাদককে বিষয়টি জানিয়েছি৷” তাঁকে না জানিয়েই কংগ্রেসের মিছিলে তন্ময় গিয়েছেন বলে জানান বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী৷
শরিকদের ফেলে সিপিএমকে পাশে পেয়ে এদিন গদগদ দেখিয়েছে কংগ্রেসকে৷ তন্ময়কে জড়িয়ে ধরে শুভেচ্ছা জানান আবদুল মান্নান৷ এক ধাপ এগিয়ে বামকর্মীদের উদ্দেশে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি বলেন, “উপরের তলায় থাকা কেন্দ্রীয় নেতাদের কথায় প্রভাবিত হবেন না৷ নিচুতলার নেতারা যা নির্দেশ দিচ্ছেন তা অনুসরণ করুন সিপিএম কর্মীরা৷ জোটের ভবিষ্যৎ জোটই৷”
The post কংগ্রেসের মিছিলে হেঁটে বিতর্কে সিপিএমের তন্ময় appeared first on Sangbad Pratidin.