সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এতদিন 'হাইজ্যাক' তত্ত্ব নিয়ে বিস্তর গুঞ্জন-ফিসফাস চলেছে। এবার জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের নেপথ্যে সিপিএমের ইন্ধন পুরোপুরি প্রকাশ্যে এল। মহানবমীতে শহরের বুকে তাঁদের ডাকা মহাসমাবেশে দলীয় কর্মীদের যোগ দেওয়ার 'নির্দেশ' দিল সিপিএম। সূত্রের খবর, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি ও দুই চব্বিশ পরগনার সিপিএম কর্মীদের এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে আবারও এও বলা হয়েছে, দলীয় পতাকা নয় বা সিপিএমের কর্মী, সদস্য হিসেবে নয়। একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে ওই সমাবেশে যোগ দিতে হবে। আর এর মাধ্যমে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনকে আনুষ্ঠানিকভাবে বামফ্রন্ট সমর্থন জানিয়ে দিল।
জুনিয়র ডাক্তারদের মহাসমাবেশকে সমর্থন বামফ্রন্টের।
এনিয়ে তৃণমূলের তরফে মিডিয়া কমিটির সদস্য কুণাল ঘোষের তীব্র কটাক্ষ, ''মুখোশ খুলে গেছে। ধর্মতলার মঞ্চে সমাবেশে খোলাখুলিভাবে যাচ্ছে সিপিএম। কলকাতা, শহরতলির লোকাল কমিটিতে ফোন যাচ্ছে। ফেবুতে, গ্রুপে পোস্ট। পুজোর মধ্যে উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা। সিপিএম, এসইউসি, উগ্র বাম মিলিত হয়েছে। কমরেড, ডাঃ অনিতা দেওয়ান, নার্স বর্ণালী দত্তর জন্য যেন নীরবতা পালন হয় ডাক্তারদের মঞ্চে। রাজনীতি করতে আপনারা মহাষ্টমীকেও বাদ দিলেন না। তদন্তে সিবিআই, মামলা কোর্টে। তারপরেও অনশন করিয়ে অরাজকতার চক্রান্ত।''
যদিও এই আন্দোলনের সঙ্গে সিপিএমের প্রত্যক্ষ যোগের কথা উড়িয়েছে দল। সিপিএম নেতৃত্বের পালটা প্রতিক্রিয়া, জুনিয়র চিকিৎসকরা তো নিজেরাই তাঁদের সমাবেশে সাধারণ মানুষকে যোগদানের কথা বলেছে। সিপিএমেরও একই আবেদন। কোনও দলীয় কর্মী নয়, নাগরিক হিসেবে সকলকেই শুক্রবার বিকেলে ধর্মতলার মহাসমাবেশে যোগদানের আহ্বান জানানো হয়েছে।
আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-হত্য়াকাণ্ডের দুমাস অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও বিচার প্রক্রিয়া তেমন এগোয়নি। এই ঘটনা পরম্পরায় হাসপাতালের নিরাপত্তা সংক্রান্ত যে দাবিদাওয়া করেছিলেন আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা, সেই কাজেরও আশানুরূপ অগ্রগতি হয়নি বলেই দাবি তাঁদের। সরকারের উপর তাই চাপ বাড়াতে এবার অনশনের পথে হেঁটেছে তাঁদের একাংশ। এরই মাঝে পুজোর মরশুমে তাঁরা উৎসবে শামিল না হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বরং এই সময়ে আরও বেশি জনসমর্থন আদায় করতে একাধিক কর্মসূচি পালন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তারই অংশ হিসেবে মহানবমীতে ধর্মতলায় মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছেন তাঁরা। এই সমাবেশকে এবার সরাসরি সমর্থন জানাল বামফ্রন্ট।