সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: ভোটের আগের দিন বর্ধমান-দুর্গাপুর (Bardhaman-Durgapur) লোকসভা এলাকায় বিজেপির বিরুদ্ধে টাকা ছড়ানোর অভিযোগ তুলল সিপিএম। অভিযোগকে কেন্দ্র করে শোরগোল এলাকায়। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরও পুলিশ নিষ্ক্রিয় বলে অভিযোগ করেছে সিপিএম। পালটা সিপিএমকে এক হাত নিলেন দিলীপ ঘোষ।
রাত পোহালেই চতুর্থ দফার ভোট। আগামিকাল বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনেও নির্বাচন। তার আগে রবিবার সরাসরি দিলীপ ঘোষের নাম না করলেও বিজেপি মেদিনীপুর থেকে লোক এনে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিভিন্ন অতিথিশালা, হোটেলে বহিরাগতদের জড়ো করছে বলে দাবি করল সিপিএম। এর পরই তাঁরা অভিযোগ করেন, বহিরাগতরা এই কেন্দ্রের বিভিন্ন গরিব পাড়ায় গিয়ে মানুষকে টাকা দিয়ে ভোট 'কেনা'র বন্দোবস্ত করছে। তাঁদের দাবি, কমিশনকে বলে কোনও লাভ নেই। তাঁরা কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আবার পুলিশকে বলেও লাভ হচ্ছে না বলেই দাবি করেছে সিপিএম। বহিরাগতদের লুকিয়ে রাখার ঠিকানা পুলিশের হাতে তুলে দিলেও তারা কোনো 'অ্যাকশন' নিচ্ছে না বলে দাবি করেছেন সিপিএমের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার।
[আরও পড়ুন: বিজেপি নেতার বাড়ির পাশে উদ্ধার তাজা বোমা, ভোটের আগের দিন উত্তপ্ত রানাঘাট]
তিনি বলেন, "কেন্দ্রের বিভিন্ন গেস্ট হাউসে মেদিনীপুর থেকে দুই দফায় বহিরাগতদের এনেছে বিজেপি। গরিব পাড়ায় গিয়ে তাঁরা টাকা বিলি করছে। প্রতিদিনই টাকা ছড়ানো হচ্ছে।" নির্বাচন কমিশন ও পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, "কমিশনকে জানিয়ে কোনও লাভ নেই। ওরা নিষ্ক্রীয়। পুলিশকে গেস্ট হাউসের তালিকা দিয়ে বলছিলাম। ওরা বলছে ওখানে কেউ নেই।" এবার জনগণ নেমে প্রতিবাদ করবে বলেও জানান তিনি। পালটা দিলীপ ঘোষ এই প্রসঙ্গে সিপিএমকে কটাক্ষ করে বললেন, "এদের কথার কোনও উত্তর আমি দিই না। যাদের কোনও আসন নেই, পঞ্চায়েত নেই তাদের কথার কী উত্তর দেব?"