রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: রাজ্য সরকারের সর্বাধিক জনপ্রিয় সামাজিক প্রকল্প 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার' নিয়ে কটাক্ষের শেষ ছিল না সিপিএমের। প্রকল্পকে ‘উৎকোচ' বলে মন্তব্য করেছিলেন একাধিক সিপিএম নেতা-কর্মীরা। সেটা যে ভুল ছিল এবং বুমেরাং হয়েছে, তা এবার কবুল করে নিল সিপিএম। লোকসভা ভোটের পর্যালোচনা রিপোর্টে পার্টি চিঠিতে এই ভুলের কথা কবুল করেছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট।
পার্টির চিঠিতে তৃণমূল (TMC) সরকারের জনমুখী প্রকল্প 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে'র সমালোচনা যে ঠিক ছিল না, সেটা স্বীকার করে বলা হয়েছে, ''জনগণের মধ্যে, বিশেষ করে মহিলাদের মধ্যে তৃণমূলের প্রতি সমর্থনের অন্যতম উপাদান হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের (Laxmi Bhadar)মতো কিছু প্রকল্প ও জনকল্যাণমূলক ব্যবস্থা। কিছু পার্টি ইউনিট বা কর্মীদের ভ্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এই সব প্রকল্পকে উৎকোচ বা 'ডোল' বলে চিহ্নিত করার প্রবণতা রয়েছে। যা গরিব মানুষকে আমাদের থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়।''
[আরও পড়ুন: বেআইনি দখল উচ্ছেদ শিলিগুড়িতে, খোদ মেয়র পারিষদের বাধার মুখে পুরকর্মীরা!]
একইসঙ্গে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, যে কোনও রাজ্য সরকারের কল্যাণমূলক প্রকল্প সম্পর্কে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োজন। 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার', 'স্বাস্থ্যসাথী'-র মতো জনমুখী প্রকল্পের সামনে কুপোকাৎ হয়েছে সিপিএম (CPM)। মহিলা ভোটারদের কাছে পৌঁছনো ও যোগাযোগের ঘাটতিও ছিল পার্টির মহিলা কমরেডদের। এই ভুল কবুলের মধ্যে দিয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথীর মতো সরকারি প্রকল্পের সাফল্যের কথাও কার্যত মেনে নেওয়া হল সিপিএমের ভোট বিপর্যয়ের অনুসন্ধান রিপোর্টে।
[আরও পড়ুন: ‘ছবি তুললে কি কাজ পাওয়া যাবে!’ স্পটলাইটে থাকা তারকাদের একহাত নিলেন তাপসী পান্নু]
আলিমুদ্দিনের তরফে বলা হয়েছে, মহিলা ভোটারদের কাছে মহিলা প্রচারকদের পক্ষ থেকে যোগাযোগের ক্ষেত্রে যথাযথ পরিকল্পনা ও উদ্যোগের ঘাটতি ছিল। সিপিএমের মহিলা ব্রিগেডের প্রচারে যে ঘাটতি ছিল তা দলের তরফে মনে করা হচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে সোশাল মিডিয়ায় (Social Media) বামপন্থী কর্মী-সমর্থকরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প নিয়ে কটাক্ষ করেছেন। এই সমস্ত জনমুখী সরকারি প্রকল্প নিয়ে তৃণমূলের সমালোচনাও সিপিএমের তরফে করা হয়েছে লাগাতার। কিন্তু মহিলা ভোট যে তৃণমূল শিবিরের অটুট রয়েছে, আর সেখানে যে দলের মহিলা সমিতিকে প্রচারে নামিয়েও কোনও লাভ হয়নি তা মেনে নিয়েছে আলিমুদ্দিন।