বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: হাইপ্রোফাইল নন্দীগ্রামে প্রার্থী করা হয়েছিল। বাজেয়াপ্তও হয় জামানত। কিন্তু সেই লড়াইয়ে চলে আসেন প্রচারের আলোয়। রাজ্যের মানুষের কাছে পরিচিত মুখ হয়ে যান মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় (Minakshi Mukherjee)। তাই ভবানীপুরে প্রার্থী করা হোক তাঁকেই। দাবি উঠল আলিমুদ্দিনের অন্দরেই।
একুশের বিধানসভা (Bengal Polls 2021) ভোটে বিপর্যয় হয়েছে বাম জোটের। যদিও বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধানে এখনও বৈঠকে বসতে পারেনি আলিমুদ্দিন। জেলাস্তরে চলছে ময়নাতদন্ত। করোনা অতিমারীতে (Corona Pandemic) সরকারি বিধিনিষেধ উঠলে তবে ময়নাতদন্তে বসবেন কমরেডকুলের নেতারা। তার আগে ভবানীপুরের প্রার্থী কাকে করা হবে তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। জোটের শর্ত অনুযায়ী, ভবানীপুর কংগ্রেসের আসন। সেখানে দলের যুব সভাপতিকে প্রার্থী করে বিধানভবন। কিন্তু উপনির্বাচনে জোট করে লড়াইয়ের পক্ষপাতী নয় আলিমুদ্দিনের বড় অংশ। সেখানে মোর্চা নয়, পার্টি এককভাবে লড়াইয়ের ময়দানে থাকুক। দাবি এই অংশের। আবার তাঁরাই চাইছেন মীনাক্ষীকেই সামনে রেখে ভবানীপুরে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে লড়াই হোক। পালটা যুক্তিও আছে।
[আরও পড়ুন: আরও বিপাকে মিঠুন চক্রবর্তী! শীঘ্রই ‘মহাগুরু’কে তলব করতে পারে কলকাতা পুলিশ]
পার্টির আরেকটি অংশের মতে, এই যুবনেত্রীকে বারবার মুখ্যমন্ত্রীর সামনে ফেলে দিলে ‘গবেষণাগারের গিনিপিগ’ বলে জনমানসে ধারণা হবে। সেক্ষেত্রে পার্টির মুখ হয়ে ওঠার যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে তা ধাক্কা খাবে। বরং কলকাতা জেলার কোনও পরিচিত মুখকে পার্টি এই কেন্দ্রে প্রার্থী করা হোক বলে দাবি জানানো হয়েছে। কে প্রার্থী হবেন, তাও এই জেলার নেতৃত্ব ঠিক করবে। সেক্ষেত্রে জোর করে উপর থেকে চাপিয়ে দেওয়ার বদনামও আলিমুদ্দিনকে বহন করতে হবে না। কারণ কংগ্রেস ও আব্বাস সিদ্দিকির ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (ISF) সঙ্গে একতরফা জোটের সিদ্ধান্ত নিয়ে পার্টির অন্দরে জলঘোলা হচ্ছে। আবার অনেক কেন্দ্রে প্রার্থী করার ক্ষেত্রেও আলিমুদ্দিন হস্তক্ষেপ করে বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রাম আসন থেকে বিধানসভা ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরাজিত হওয়ায় তাঁকে ফের লড়াই করে জিতে ফিরতে হবে। আর লড়াইয়ের কেন্দ্র হিসেবে নিজের ‘গড়’ ভবানীপুকেই বেছে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যে কারণে ইতিমধ্যেই ভবানীপুরের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি লড়বেন খড়দহ কেন্দ্রের প্রয়াত তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহার জায়গায়।