সম্যক খান, মেদিনীপুর: আমজনতার স্বার্থে ‘দুয়ারে সরকার’ (DUARE SARKAR) প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার। এবার সেই প্রকল্পের সুবিধা সাধারন মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে এগিয়ে এল সিপিএম (CPIM)। দুয়ারে সরকার প্রকল্পে শামিল হল তারা। এমনই অভিনব সৌজন্যের রাজনীতির সাক্ষী থাকল পশ্চিম মেদিনীপুরবাসী (Paschim Medinipore)। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তৃণমূল-সিপিএমের এহেন ঘনিষ্ঠতা নিসন্দেহে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
বিজেপি বিরোধিতায় এককাট্টা হচ্ছে বিরোধীরা। ঠারেঠোরে বামেরাও এই ইস্যুতে তৃণমূলের পাশে থাকার কথা জানিয়েছে। এমনকী, ত্রিপুরায় তৃণমূল (TMC) নেতা-নেত্রীর উপর হামলার নিন্দায় সরব হয়েছে সে রাজ্যের বামেরা। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারি প্রকল্পে সিপিএমের শামিল হওয়া যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
[আরও পড়ুন: ‘দু’চোখের পাতা এক করতে পারছি না’, এখনও তালিবানি আতঙ্কে কাবুল ফেরত দার্জিলিংয়ের বাসিন্দা]
১৬ আগস্ট থেকে জেলায়-জেলায় দ্বিতীয় দফায় ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প চালু হয়েছে। আমজনতার কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে রাজ্য সরকারি প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা। সে কথা মাথায় রেথেই চালু হয়েছে ক্যাম্প। লম্বা লাইন পড়ছে সেই ক্যাম্পে। এমন পরিস্থিতিতে আমজনতার পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এসেছে সিপিএমও। পশ্চিম মেদিনীপুরের কর্নেল গোলার শ্রী নারায়ন গার্লস স্কুলেও চলছে দুয়ারে সরকার প্রকল্প। তার বাইরে হেল্প ডেস্ক খুলেছে সিপিএম। চলছে ফর্ম ফিলাপ। তাঁদের এহেন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে আমজনতা। যদিও রাজনৈতিক মহল এর পিছনে অন্য গন্ধ পাচ্ছে।
[আরও পড়ুন: করোনা আবহে ভিড় এড়াতে বাড়তি সতর্কতা, জন্মাষ্টমীতে ভক্তদের জন্য বন্ধ বেলুড় মঠ]
দুয়ারে সরকার প্রকল্পে সিপিএমের হেল্প ডেস্ক চালু করা নিয়ে সিপিএমের স্থানীয় এরিয়া কমিটির সম্পাদক সুকুমার আচার্য বলেন, “আমরা দায়িত্বশীল বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করি বরাবর। এবারও রাজ্য সরকারের ভাল কাজ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমরা কাজ করছি। তবে রাজ্য সরকারের উচিৎ প্রতি ব্লকে ব্লকে ক্যাম্প করা। তাহলে এত ভিড় হত না।” ওয়াকিবহাল মহল অবশ্য, এই ঘটনা সিপিএম-তৃণমূলের কাছাকাছি আসার গন্ধই পাচ্ছে।