বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: সংযুক্ত মোর্চা (Sangyukta Morcha) আছে নাকি ভেঙে দেওয়া হয়েছে? জোট কেন হয়েছিল? জোট করে কী লাভ হল? বিধানসভা ভোটের ন’মাস পরেও এই উত্তর দেয়নি আলিমুদ্দিন। সিপিএমের (CPM)কলকাতা জেলা সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে পার্টির ভোট ম্যানেজারদের দিকে একের পর এক তোপ দাগেন প্রতিনিধিরা। প্রশ্নের মুখে কার্যত অস্বস্তিতে পড়ে যান বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্ররা।
দীর্ঘদিনের রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়েছে। পরপর তিনটি পুরভোটে তার আভাস পাওয়া গিয়েছে। ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দল। জোট না করেই সাফল্য আসছে। তাই আর জোট নয়। এবার একলা চলার দাবি উঠল পার্টির কলকাতা জেলা সম্মেলনে। বেশিরভাগ প্রতিনিধির গলায় শুক্রবার ছিল একই সুর। এদিন রাজ্য নেতৃত্বের কাছে প্রতিনিধিরা জোটের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দেন। সিংহভাগ প্রতিনিধি জানান, কংগ্রেসের (Congress) সমর্থন করা আসনে সিপিএমের কোনও লাভ হয়নি। অর্থাৎ একটাও আসন জিততে পারেননি পার্টির প্রার্থীরা।
[আরও পড়ুন: ইউক্রেন ফেরত ডাক্তারি পড়ুয়াদের জন্য স্বস্তি, বড় ঘোষণা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের]
বরং ৭৭ আসন জিতে বিজেপিই (BJP) প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পায়। কিন্তু পুরসভা নির্বাচনের পর সেই শূন্য থেকেই আবার দল ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে বলে দাবি করেন প্রতিনিধিরা। ভোট সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে পার্টির। ফলে এখন সময় একলা চলার। আলিমুদ্দিনের শীর্ষ কর্তাদের সামনে এমনই দাবি জানান অনেকেই বলে সূত্রের খবর। সম্মেলনে আসা এক প্রতিনিধিদের অনেকেই বলেন, “বারবার ভোটে দেখা গিয়েছে জোটে আমরা যতটা আন্তরিক, কংগ্রেসের ভোটাররা ততটা নয়। আমরা কংগ্রেসকে ভোট দিলেও কংগ্রেসের ভোটাররা নিজেদের ভোটটা আমাদের দেয়নি। অনেক ক্ষেত্রেই কংগ্রেসের ভোট দিয়েছে তৃণমূলের ঝুলিতে। ফলে লাভবান হয়েছে রাজ্যের শাসকদল। কিন্তু একা চলেই লাভ পাওয়া গিয়েছে।”
[আরও পড়ুন: পরীক্ষা শুরুর ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট যাওয়া যাবে না শৌচালয়ে, মাধ্যমিকে প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে কড়া পর্ষদ]
অনেকেই আবার বিধানসভা নির্বাচনে আইএসএফকে (ISF) জোটে নেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, “হঠাৎ করে আইএসএফের সঙ্গে জোট মানুষের মধ্যে ভুল বার্তা গিয়েছে। এটা না হলে ফল আরও ভাল হতে পারত। যেমন এখন হচ্ছে।” কলকাতা (Kolkata)জেলা সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনও সদস্যদের একাংশের এই তোপের মুখে অস্বস্তিতে আলিমুদ্দিনের কর্তারা।