স্টাফ রিপোর্টার: পঞ্চায়েতে যেটুকু বাক্সে এসেছে, সেই বাম ভোট যাতে রামে না যায়, সেটা আটকানোই এখন লক্ষ্য আলিমুদ্দিনের। লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে জাতীয় ক্ষেত্রে ও রাজ্য রাজনীতিতে পার্টির দ্বিমুখী অবস্থান স্পষ্ট করা। তাই সদস্যদের ফের পার্টি লাইন বোঝাতে নামতে হচ্ছে সিপিএমকে (CPM)।
এই লক্ষ্যেই দুই কর্মসূচি। এক, মিট দ্য ফ্যামিলি কর্মসূচি নিয়েছে সিপিএম। দলের দাবি, পঞ্চায়েত ভোটে আক্রান্ত কর্মী—সমর্থকদের খোঁজ নিতে বাড়ি বাড়ি যাওয়া। কিন্তু পার্টির অন্দরের খবর, ইন্ডিয়া জোট নিয়ে অস্বস্তি কাটাতে ও সাধারণ কর্মী—সমর্থকদের পার্টির লাইন বোঝানোর কাজও চলবে এই মিট দ্য ফ্যামিলি কর্মসূচিতে। যাতে বিজেপি যে প্রচার শুরু করেছে তাতে বিভ্রান্ত না হয়ে পার্টির কর্মী—সমর্থকরা পদ্ম শিবিরে চলে না যায়।
[আরও পড়ুন: INDIA জোটের পরবর্তী বৈঠকের দিনক্ষণ চূড়ান্ত, যোগ দেবেন মমতা]
পার্টির দ্বিমুখী নীতি নিয়ে যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে নিচুতলায়, লোকসভা নির্বাচনের আগে তা বুমেরাং হতে পারে বলে আলিমুদ্দিনের আশঙ্কা। বামে ফেরা ভোট ফের বিজেপিতে চলে যেতে পারে। যে সমস্ত ভোট ব্যাঙ্ক বিজেপির কাছ থেকে সবেমাত্র ফিরতে শুরু করেছিল সেটাও ধরে রাখা যাবে কি না তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। তাই রাজ্য সিপিএমের তরফে এই জোট নিয়ে বিভ্রান্তি কাটাতে জেলার পার্টি কর্মীরা তো বটেই, সাধারণ সমর্থকদের কাছেও যাওয়া হবে দলের বক্তব্য পৌঁছে দিতে।
[আরও পড়ুন: ফোনেই জুটেছে ‘নতুন’ প্রেমিক, কাঁটা সরাতে ‘বুড়ো’ স্বামীকে বালিশ চাপা দিয়ে খুনের চেষ্টা যুবতীর]
পাঠচক্র কর্মসূচির বিষয়ে বলা হচ্ছে, গত পার্টি কংগ্রেসে দলের রাজনৈতিক লাইন যেটা গৃহীত হয়েছিল তা সদস্যদের কাছে ব্যাখ্যা দেওয়া। পার্টির মধ্যে প্রশ্ন, গত পার্টি কংগ্রেসের পর সেই ব্যাখ্যা তো দেওয়াই হয়েছিল। তাহলে আবার কেন তার প্রয়োজন হল? এক সিপিএম নেতার কথায়, ইন্ডিয়া জোটে তৃণমূলের সঙ্গে সিপিএমের থাকা নিয়ে এ রাজ্যে বিজেপি যে অপপ্রচার করে বামেদের ভোট কাটতে চাইছে সেই বিভ্রান্তিও কাটানো হবে পাঠচক্র কর্মসূচির মাধ্যমে। এ রাজ্যে তৃণমূল সম্পর্কে কৌশলগত অবস্থান স্পষ্ট করা হবে। ১৩ আগস্ট পাঠচক্র কর্মসূচির জন্য পার্টির তরফে একটি নোট তৈরি করা হয়েছে। যা জেলায় জেলায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।