সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আশ্চর্য বললেও কম বলা হয়। সিডনিতে মহম্মদ সিরাজকে বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য করা ‘অপরাধী’ দর্শকদের খুঁজেই পেল না ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া! বুধবার আইসিসির কাছে বর্ণবিদ্বেষের ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের রিপোর্ট পেশ করেছে অজি বোর্ড। আইসিসিকে (ICC) দেওয়া রিপোর্টে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া স্বীকার করে নিয়েছে, সিডনিতে ভারতীয় ক্রিকেট দলের তারকাদের বর্ণবিদ্বেষের শিকার হতে হয়েছে। অথচ, মহম্মদ সিরাজকে বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য করার অপরাধে যে ছ’জন দর্শককে সিডনি মাঠ থেকে বার করে দিয়েছিল নিরাপত্তাকর্মীরা, সেই ছ’জনকেও মুক্তি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (Cricket Australia) তদন্তকারীদের মতে, সেই ছ’জন আসল অপরাধী নন!
অজি বোর্ডের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে,”ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া নিশ্চিত যে, সিডনিতে বর্ণবিদ্বেষের শিকার হয়েছেন ভারতীয় দলের সদস্যরা। ঘটনার তদন্ত এখনও চলছে। সিসিটিভি ফুটেজ, টিকিটের তথ্য, বিভিন্ন সাক্ষাতকার এবং দর্শকদের সঙ্গে কথা বলে এই ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত তাঁদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।” অজি ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা জানিয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে যারা যারা যুক্ত তাঁদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। অস্ট্রেলিয়া বোর্ডের বিবৃতিতে বলা হয়েছে,”এই ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ‘জিরো টলারেন্সে’র নীতিতে বিশ্বাসী।” বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির আয়োজক হিসেবে ভারতীয় দলের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছে অজিরা। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে যে ছ’জন দর্শকের বিরুদ্ধে বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের ছাড় দেওয়া হল কেন? ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার দাবি, প্রাথমিক তদন্তের পর নাকি তাঁরা নিশ্চিত, ওই ছ’জন বর্ণবিদ্বেষের সঙ্গে যুক্ত নন।
[আরও পড়ুন: কাঁটা আইপিএল! প্রথম টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল পিছিয়ে দিল আইসিসি]
প্রসঙ্গত, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সদ্য সমাপ্ত টেস্ট সিরিজে সিডনি টেস্ট চলাকালীন বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য করা হয় সিরাজকে। এক দিন নয়, পরপর দু’দিন। ‘বাদামি কুকুর’ বলে ডাকা হয় ভারতীয় পেসারকে। যার পর সিডনি মাঠ থেকে ছ’জন দর্শককে বার করে দেওয়া হয়। অপরাধীদের শাস্তি দিতে বসে তদন্ত কমিটি বসায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। বুধবারই আইসিসির (ICC) কাছে নিজেদের তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু তাঁদের দাবি, তদন্ত প্রক্রিয়া এখনও শেষ হয়নি। তাই এখনও শনাক্ত করা যায়নি অপরাধীদের। প্রশ্ন উঠছে, সিডনি টেস্টের পর প্রায় ২০ দিন কেটে গেলেও কেন অপরাধীদের শনাক্ত করা গেল না।