অর্ণব আইচ: ইডেনে টিকিটের কালোবাজারির জল গড়াল মুম্বই পর্যন্ত। টিকিট বিক্রি নিয়ে এবার সরাসরি বিসিসিআইকে নোটিস দিল কলকাতা পুলিশ। ময়দান থাকার পক্ষ থেকে বিসিসিআই সভাপতি রজার বিনিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। টিকিট বিক্রি নিয়ে ৭ নভেম্বরের মধ্যে বোর্ডের জবাবদিহি চেয়েছে ময়দান থানা।
বস্তুত ইডেনে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের কালোবাজারি নিয়ে বিস্তর ক্ষোভ তৈরি হয়েছে ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে। পুলিশ জানিয়েছে, বিশ্বকাপের টিকিট কালোবাজারির অভিযোগে এ পর্যন্ত ন’টি মামলায় ২১ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। ১০৮টি টিকিট উদ্ধার হয়েছে। তদন্তে পুলিশ জেনেছে যে, প্রায় ৬৪ হাজার টিকিট ছাপানো হয়েছে। টিকিট বুকিং অ্যাপ পেয়েছে ১৮ হাজার ৭৫টি টিকিট। সেগুলি অনলাইনে বিক্রির সময় কালোবাজারি হয়েছে বলে অভিযোগ। এ ছাড়াও কমপ্লিমেন্টারি টিকিট দেওয়া হয়েছে ২০ হাজার ১৬৮টি। সিএবি ও বিসিসিআইয়ের হাতে গিয়েছে ২৫ হাজার ৯৭৫টি টিকিট। সেটি রাজ্যের বিভিন্ন ক্লাবকে বন্টন করা হয়েছে। ক্লাবগুলির মাধ্যমে সেই টিকিট বিক্রি হয়েছে।
সিএবির দাবি, তাঁদের ১১ হাজার সদস্য রয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৩ হাজার জনকে অগ্রাধিকারে অনলাইনে টিকিট দেওয়া হয়েছে। বাকিরা টিকিট পাননি। আসলে বিশ্বকাপের টিকিট বণ্টনের বিষয়টি পুরোপুরিই বিসিসিআইয়ের হাতে। সিএবির হাতে কিছুই নেই। সিএবি কর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর সেটাই জানতে পেরেছে ময়দান থানা। তার পরই বিসিসিআইকে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত। বোর্ড সভাপতির কাছে চিঠি দিয়ে কলকাতা পুলিশ জানতে চেয়েছে, টিকিট বিক্রির জন্য কী ব্যবস্থাপনা করা হয়েছিল? কেনই বা টিকিট বিক্রি নিয়ে এত বেনিয়মের অভিযোগ? আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে বোর্ডের কোনও কর্তাকে উপযুক্ত নথি-সহ হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।
বস্তুত টিকিট বিক্রি নিয়ে রাজনীতির খেলাও শুরু করেছে রাজ্যের বিরোধীরা। এমনকী রাজ্যপালের গতিবিধিতেও রাজনীতির ইঙ্গিত মিলছে। রাজ্যপালও এই ম্যাচের টিকিট বিক্রি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এমনকী সিএবি যে তাঁকে চারটি কমপ্লিমেন্টারি টিকিট দিয়েছিল, সেটিও ফেরত দিয়েছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। উলটে তিনি রাজভবনে এই ম্যাচের বিশেষ স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা করেছেন। তাতে আবার ৫০০ জন সাধারণ মানুষকেও প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।