বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা জাতি জনগণনার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেও সেখানে সময়সীমা বেধে দেওয়ার কথা জানায়নি। কেন্দ্রের সেই সিদ্ধান্তকে 'হেডলাইন উইদাউট ডেডলাইন' বলে কটাক্ষ করল কংগ্রেস। কবে থেকে জাতি জনগণনা শুরু হবে, অবিলম্বে ঘোষণার দাবি জানাল হাত শিবির।
বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের তরফে জয়রাম রমেশ জানান, কেন্দ্রীয় সরকার ৬ বছর আগে ঘোষণা করে ২১ সালে জনগণনা হবে। সেজন্য ৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। কিন্তু এবার কেন্দ্রীয় বাজেটে জনগণনার জন্য মাত্র ৫০০ কোটি বরাদ্দ করা হয়েছে। এই সামান্য অর্থে কীভাবে জাতিগত জনগণনা সম্ভব তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
বিরোধীদের দাবি মেনে নিয়ে বুধবারই জাতিগত জনগণনার কথা ঘোষণা করে কেন্দ্র। বিরোধীরা কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তকে তাদের জয় বলেই মনে করছে। এর কারণ ব্যাখ্যা করে জয়রাম দাবি করেন, ১৯ সালে কেন্দ্রীয় সরকার জানায়, ২১ সালে জনগণনা হবে। কিন্তু কোভিডের জন্য তা হয়নি। তখন জানান হয়েছিল, তিনটি বিষয়ের উপর জন গণনা হবে। তা হলো, একটি বাড়িতে ব্যক্তিসংখ্যা, তাদের আবাস সংখ্যা ও এক আবাসে কতজন বসবাস করেন। অর্থাৎ দেশের জনসংখ্যার পাশাপাশি কটি বাড়ি রয়েছে তাও গণনার আওতায় আনা হবে। কিন্তু এবার তার সঙ্গে জাতি জনগণনাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যা কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের তরফে দাবি করা হচ্ছিল।
জনগণনার কাজ কবে থেকে শুরু হবে বা কবে শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে কিছু জানানো হয়নি। কেন সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হল না, কংগ্রেসের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। প্রধান বিরোধী দলের তরফে দাবি করা হয়, সংবিধান সংশোধন করে তফশিলি জাতি, উপজাতি ও পিছিয়ে পড়া জনজাতির জন্য যে ৫০ শতাংশ সংরক্ষণ রয়েছে তুলে দিতে হবে। কারণ এই তিন অংশের মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। অথচ সকারিভাবে এদের প্রতিনিধিত্ব সবচেয়ে কম। প্রতিনিধিত্ব বাড়াতেই এই সংরক্ষণ তুলে দেওয়ার দাবি করা হচ্ছে বলে কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে।
