সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৬ থেকে ২০১৯। মাঝে তিনটি বছর। কিন্তু এই তিন বছরের মধ্যেই ভিলেন থেকে ফের হিরো বেন স্টোকস। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালের খলনায়ক আর তিন বছর পর সীমিত ওভারের বিশ্বকাপ ফাইনালের নায়ক। সেই বেন স্টোকসই আবার শিরোনামে। ২০১৬ সালে ইডেন গার্ডেন্সে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে শেষ ওভার। বেন স্টোকসকেই চারটি ছয় মেরে ক্যারিবিয়ানদের বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন কার্লোস ব্রেথওয়েট। সেদিন ব্রিটিশদের কাছে রাতারাতি খলনায়ক হয়ে গিয়েছিলেন স্টোকস। তারপর নাইট ক্লাবে বচসা থেকে খারাপ ফর্ম- গত তিন বছরে অনেক ঝড়-ঝাপটা সামলেছেন তিনি। তিন বছর পর দেশের মাটিতে বিশ্বকাপের ফাইনালে যেন ২০১৬-র ফাইনালের প্রায়শ্চিত্ত করলেন বেন স্টোকস। ২০১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালে তিনিই নায়ক। অপরাজিত ৮৪ রান করে কিউয়িদের বিরুদ্ধে ম্যাচ টাই করেন বেন স্টোকস। তারপর সুপার ওভারেও বাজিমাত। ম্যাচের সেরাও হয়েছেন তিনি। কিন্তু সেই বেন স্টোকসের বাবাই কিনা ফাইনালে গলা ফাটালেন নিউজিল্যান্ডের জন্য! সে কী করে সম্ভব?
[আরও পড়ুন: ‘৬ নয়, ওভার থ্রো-তে পাঁচ রান পাওয়া উচিত ছিল ইংল্যান্ডের’, মত সাইমন টাফেলের]
অবাক লাগছে তো? তবে অস্বাভাবিক কিছু নয়। কারণ, ২৮ বছর বয়সী বেন স্টোকসের জন্ম নিউজিল্যান্ডেই। তাঁর বাবা-মা সেখানেই থাকেন। ১৯৯১ সালের ৪ জুন নিউজিল্যান্ডে জন্ম বেন স্টোকসের। জন্মের পরও বেশ কিছু বছর ক্রাইস্টচার্চেই ছিলেন স্টোকস। তাঁর বাবা জেরার্ড রাগবি লিগ কোচিং করাতে কামব্রিয়া চলে এলে তাঁর সঙ্গেই গোটা পরিবার ইংল্যান্ড পাড়ি দেয়। সেইসময় ১২ বছর বয়সেই ইংল্যান্ডে চলে আসে বেন। কিন্তু পরে তাঁর বাবা-মা ক্রাইস্টচার্চে চলে আসেন। এখন তাঁরা সেখানেই থাকেন। ফাইনালের দিন ব্ল্যাক ক্যাপসের হয়ে গলা ফাটান বেনের বাবা জেরার্ড। তিনি জানান, ক্রাইস্টচার্চে বসেই তিনি দেখলেন ছেলের অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স এবং প্রিয় দলের সুপার ওভারে হার। তবে নিউজিল্যান্ডের হার দেখলেও ছেলের সাফল্যে গর্বিত বাবা জেরার্ড। তিনি আরও বলেছেন, ‘নিউজিল্যান্ডের হারে খুবই দুঃখ পেয়েছিলাম। ট্রফির এত কাছে পৌঁছেও দেশে ট্রফি না নিয়ে ফেরাটা খুবই হতাশাজনক। তবে বুকে হাত রেখে বলছি, বেন এবং ইংল্যান্ডের জন্যও আমি খুব খুশি হয়েছি। কিন্তু আমি এখনও নিউজিল্যান্ডেরই সমর্থক।’
The post ছেলের সাফল্যের দিন কিউয়িদের হয়ে গলা ফাটালেন বেন স্টোকসের বাবা! appeared first on Sangbad Pratidin.