সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পারথ জয়ের যাবতীয় আনন্দ মুছে গেল অ্যাডিলেডে হেরে। বর্ডার গাভাসকর ট্রফির ফলাফল এখন ১-১। হাতে এখনও তিনটি টেস্ট আছে ঠিকই। তবে প্রশ্নচিহ্নও কম নয়। পিঙ্ক বল টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ১০ উইকেটে হারতেই ভাবাচ্ছে একাধিক প্রশ্ন। যার উত্তর দ্রুত খুঁজে বের করতে হবে রোহিত-গম্ভীরদের।
ব্যাটিং ব্যর্থতা: ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী জায়গা মনে করা হত ব্যাটিংকেই। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ভারতকে সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছে ব্যাটিংই। অ্যাডিলেডেও তার কোনও পার্থক্য হল না। প্রথম ইনিংসে ১৮০, দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট ১৭৫ রানে। চূড়ান্ত ব্যর্থ রোহিত-বিরাটের মতো অভিজ্ঞ ব্যাটাররা। একমাত্র ভরসা দিলেন জীবনে দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা নীতীশ কুমার রেড্ডি।
বুমরাহ ছাড়া বোলিংয়ে ভেদশক্তির অভাব: ভারতীয় বোলিংয়ের মূল স্তম্ভ জশপ্রীত বুমরাহ। কিন্তু তাঁকে সঙ্গ দেবেন কে? হর্ষিত রানা লাইন-লেংথ গুলিয়ে ফেললেন। মহম্মদ সিরাজ তো ঝামেলা করার পর বাকি সময়ই পেলেন না। প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট পেলেন ঠিকই, কিন্তু মুড়ি-মুরকির মতো রান বিলোলেন। এর সঙ্গে মাথায় রাখতে হবে বুমরাহর ধকলও। অগত্যা ভরসার নাম মহম্মদ শামি। তিনি যে কবে অস্ট্রেলিয়া যাবেন, কেউ জানে না!
নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন: প্রশ্ন উঠবে রোহিত শর্মার নেতৃত্ব নিয়েও। পারথে বুমরাহর নেতৃত্বে জয় পেয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। পিতৃত্বকালীন ছুটি কাটিয়ে দলে যোগ দিয়েছিলেন হিটম্যান। কিন্তু আদতে হিট নয়, মিস হল। বুমরাহকে কেন প্রথম সেশনে আরও দীর্ঘ সময় বল করানো হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। ওপেনিংয়ের জায়গা ছেড়ে নিজে ছয় নম্বরে নেমে মহানুভবতা দেখালেন ঠিকই, কিন্তু ফর্মে ফেরা হল না।
সমস্যা দল নির্বাচনেও: ওয়াশিংটন সুন্দর হঠাৎ কেন বাদ? উত্তরটা কে দেবেন? সেই জায়গায় দলে এলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তাঁর পরিসংখ্যান ১৮-৪-৫৩-১। যেখানে স্টার্ক-কামিন্সরা অতিরিক্ত বাউন্সের ফায়দা তুলে নিয়ে গেল, সেখানে কেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ প্রথম একাদশে আসবেন না? পরের টেস্টের আগে অনেক প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজতে হবে গম্ভীরদের।
পিঙ্ক বলের 'জুজু': গত বছর এই মাঠেই ৩৬ রানের অলআউট। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে পিঙ্ক বল মানেই যেন একটা আতঙ্ক। বলা হয়, দিন-রাতের টেস্টে সব থেকে বিপজ্জনক সময় গোধূলিবেলা। তবে ভারতীয় ব্যাটাররা দিন-রাত সব সময়ই উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে এলেন। পরের টেস্টগুলো আর দিন-রাতের নয়। এটাই একমাত্র আশা-ভরসা ভারতের।