সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের পাকিস্তানে যেতে আপত্তি। উলটো দিকে পাক ক্রিকেট কর্তাদের অনড় মনোভাব। ফলে যা পরিস্থিতি পাকিস্তানের মাটিতে আদৌ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হবে কিনা, সেটা নিয়ে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন উঠে গিয়েছে। শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (Champions Trophy 2025) আয়োজন না করতে পারলে আর্থিকভাবে বিরাট লোকসান হবে পাক বোর্ডের।
পিসিবির তরফ থেকে পরিষ্কার বলে দেওয়া হয়েছে, যেহেতু আয়োজকের দায়িত্ব তাদের দেওয়া হয়েছে, তাই তারা কোনওভাবেই হাইব্রিড মডেলে সম্মতি দেবে না। অন্যথা তারা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেবে। ঠিক এখানেই সমস্যায় পড়েছে আইসিসি। আইসিসির অন্দরমহলে খবর নিয়ে জানা গেল যে, পাকিস্তান বোর্ডের তরফ থেকে যেরকম কড়া মনোভাব পেশ করা হয়েছে, তাতে জটিলতা আরও বেড়ে গিয়েছে। শুধু পিসিবি নয়, এই ব্যাপারটায় মধ্যে ঢুকে পড়েছে পাকিস্তান সরকারও।
কিন্তু কেন এত মরিয়া পাক বোর্ড? আসলে এটা পিসিবির জন্য শুধু সম্মানের বিষয় নয়, পিসিবির আর্থিক ভবিষ্যৎও নির্ভর করছে এই টুর্নামেন্টের উপর। হিসাবে বলছে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পাকিস্তানে না হলে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি মার্কিন ডলার লোকসান হতে পারে পাক বোর্ডের। টিকিটের দাম, স্পনসরশিপ, সম্প্রচার স্বত্ত্ব সব মিলিয়ে এই বিপুল অর্থ লাভের আশায় পাক বোর্ড। যদি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হাইব্রিড মডেলেও হয়, তাহলেও একটা বড় অঙ্কের লাভ কমে যাবে।
পিসিবির থেকে স্পষ্টভাবে আইসিসিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য তিনটে স্টেডিয়ামের আমূল সংস্কার করা হয়েছে। যার জন্য বিপুল অর্থ খরচ হয়েছে। এখন যদি হাইব্রিড মডেলে এই টুর্নামেন্ট হয়, তাহলে তাদের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। তাছাড়া বহুবছর পর পাকিস্তান আবার আইসিসি ট্রফি আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে। কোনও অবস্থাতেই তারা সেটা হাতছাড়া করতে চায় না।