রাজর্ষি গঙ্গোপাধ্যায়: কথায় আছে লাইক ফাদার লাইক সন। বাবা বীরেন্দ্র শেহওয়াগের নাম ক্রিকেটপ্রেমীরা মনে রেখেছেন আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের জন্য। এবার সেই ব্যাটিংয়ের ধারা বজায় রাখল ১৭ বছরের তরুণ আর্যবীর। বাবার মতোই মারকুটে ব্যাটিং করে ডবল সেঞ্চুরি হাঁকাল শেহওয়াগের বড় ছেলে। কোচবিহার ট্রফিতে খেলতে নেমে মাত্র ২২৯ বলে ২০০ রান করে অপরাজিত রয়েছে জুনিয়র শেহওয়াগ। ট্রিপল সেঞ্চুরির দিকেও এগোচ্ছে খুদে আর্যবীর।
দিল্লির হয়ে কোচবিহার ট্রফিতে খেলতে নেমেছিল আর্যবীর। শিলংয়ে মেঘালয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচ ছিল দিল্লির। কোচবিহার ট্রফিতে খেলতে যাওয়ার আগে ছেলেকে নিজের দুটি ব্যাট দেন শেহওয়াগ। তবে বাবার ব্যাট নিয়ে খেলতে নামেনি তরুণ আর্যবীর। নিজের ব্যাট দিয়ে খেলেই মাত্র ২২৯ বলে ২০০ রান হাঁকিয়েছে সে। গোটা ইনিংসে মোট ৩৪টি বাউন্ডারি এসেছে আর্যবীরের ব্যাট থেকে। ২০০ রান করতে দুটি ছক্কাও মেরেছে শেহওয়াগপুত্র। প্রথম ১০০ রান করতে খানিক ধীরগতিতে ইনিংস গড়েছিল আর্যবীর। কিন্তু দ্বিতীয় সেঞ্চুরি এসেছে মাত্র ৫০ বলে।
কোচবিহার ট্রফির দর্শকদের কথায়, বাবার ছায়া দেখা যাচ্ছে আর্যবীরের ব্যাটিংয়ে। নিজের ক্রিকেটজীবনে খুব একটা ফুটওয়ার্ক নিয়ে মাথা ঘামাননি শেহওয়াগ। এক জায়গায় দাঁড়িয়েই জোরালো শট মেরে বল পাঠিয়ে দিতেন বাউন্ডারির বাইরে। ঠিক সেই ধাঁচেই ব্যাট করে শেহওয়াগের জ্যেষ্ঠপুত্র। একেবারে বাবার মতোই অন দ্য রাইজ শট। কভার ড্রাইভ গুলো রবি শাস্ত্রীর ভাষায় ট্রেসার বুলেটের মতো। স্ট্যান্ড অ্যান্ড ডেলিভার- ব্যাটিংয়ের এই তত্ত্বই অনুসরণ করে জুনিয়র শেহওয়াগ।
আপাতত ২০০ রান করে ক্রিজে রয়েছে আর্যবীর। এখন তার পাখির চোখ ট্রিপল সেঞ্চুরিতে। পরের ১০০ রান করতে কি বাবার ব্যাট নিয়ে মাঠে নামা উচিত? পরামর্শ নিতে বাবাকে ফোন করার কথা ভাবছে আর্যবীর। শেষ পর্যন্ত কি ৩০০ রান করতে পারবে তরুণ ব্যাটার?