সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘ ২৯ বছর। এতগুলো বছর পর কোনও বিশ্ব পর্যায়ের টুর্নামেন্ট ফিরছে পাকিস্তানে। সেই ১৯৯৬ বিশ্বকাপের পর আবার। এবার ফিরছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির হাত ধরে। আর সেই টুর্নামেন্টে পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দেবেন যিনি, সেই মহম্মদ রিজওয়ান চান, দেশবাসী এই ঐতিহাসিক মাহেন্দ্রক্ষণে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে আনন্দ করুক।
বুধবার উদ্বোধনী ম্যাচে পাকিস্তানের মুখোমুখি হচ্ছে নিউজিল্যান্ড। সে ম্যাচে নামার আগে বড়সড় ধাক্কা খেয়ে গেল নিউজিল্যান্ড। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে ছিটকে গেলেন ব্ল্যাক ক্যাপস পেসার লকি ফার্গুসন। এমনিতেই বহুদিন পর টিমের দুই অভিজ্ঞ পেসার টিম সাউদি আর ট্রেন্ট বোল্টকে ছাড়া বিশ্বপর্যায়ের টুর্নামেন্ট খেলতে নামছে কিউয়ি বাহিনী। তার উপর ফার্গুসনও নেই। বদলে দলে এলেন কাইল জেমিসন। কিন্তু পাক অধিনায়ক রিজওয়ানের সে সমস্ত নিয়ে ভাবার ফুরসৎ কোথায়? তাঁর সবচেয়ে বড় চাপ দেশবাসীর সামনে খেলাটা। আর সেটাও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো টুর্নামেন্টে।
“গোটা পাকিস্তানের উচিত আগামী একমাস উৎসব করা। উনত্রিশ বছর পর বিশ্বপর্যায়ের টুর্নামেন্ট ফিরল পাকিস্তানে”, মঙ্গলবার প্রাক ম্যাচ সাংবাদিক সম্মেলন করতে বসে বলছিলেন এই পাক উইকেটকিপার-ব্যাটার। সঙ্গে যোগ করেন, “পাকিস্তান অনেক যন্ত্রণা সহ্য করেছে। অনেক ভুগেছে। কিন্তু তার মধ্যেও আমরা ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছি। ২০০৯ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছি।” বুধবার যাদের বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে নামছে পাকিস্তান, সেই নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সম্প্রতি ত্রিদেশীয় সিরিজে তারা দু’বার হেরেছে। “আমি বলব, আমাদের ক্রিকেটীয় ক্ষমতার উপর সন্দেহ করা উচিত নয়। আমরা তখন হয়তো নিজেদের সেরাটা দিয়ে খেলতে পারিনি। কিন্তু দেশের জন্য, আমাদের জনতার জন্য, সেরাটা দিতেই মাঠে নামব,” বলে দিয়েছেন পাক অধিনায়ক।
একা রিজওয়ান নন। পাক টিমের বাকিরাও ফুটছেন। সবুজ জার্সির অন্যতম সেরা পেসার হ্যারিস রউফ যেমন। রউফ বলছিলেন যে, গত চার-পাঁচ বছরে বিশ্বপর্যায়ের ট্রফির কাছাকাছি এসেও ফিরে যেতে হয়েছে পাকিস্তানকে। সেই ট্রফি খরা এবার তাঁরা শেষ করতে চান। “গত তিন-চার বছরে দু’টো বিশ্বপর্যায়ের টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলেছি আমরা। কিন্তু ট্রফি জিততে পারিনি। এবার সময় হয়েছে, ট্রফি জেতার।”
