সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোনও ক্রিকেটারই বিমর্ষ হয়ে একা একা বসে থাকতে চায় না। প্রত্যেকেই দিনের শেষে পরিবারের সঙ্গে স্বাভাবিক জীবন চায়। ক্রিকেটারদের পরিবারের সদস্যদের বিদেশ সফরে নিয়ে যাওয়া নিয়ে যে ফতোয়া ভারতীয় বোর্ড দিয়েছে, এবার সেটার বিরুদ্ধে সরাসরিই মুখ খুললেন বিরাট কোহলি। সাফ বুঝিয়ে দিলেন, পরিবারের সদস্যদের বিদেশ সফরে নিয়ে যাওয়া নিয়ে বিসিসিআই যে নির্দেশিকা দিয়েছে তাতে তিনি হতাশ।
নিন্দুকেরা বলেন, ভারতীয় ক্রিকেটে বিরাট কোহলির আমলে যে আমূল বদলগুলি হয়েছিল সেগুলির মধ্যে অন্যতম হল ক্রিকেটারদের পরিবারের সদস্যদের হোটেল রুম এবং ড্রেসিংরুমে অবাধ আনাগোনা। এমন নয় যে কোহলির আগে ক্রিকেটারদের পরিবারের সদস্যরা টিম হোটেলে যেতেন না। কিন্তু বিরাটের আমলে সেটা চরম আকার ধারন করে। পরবর্তী কালে রোহিতও সেই সংস্কৃতি চালিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু সম্প্রতি বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে ভারতের ব্যর্থতার পর ছবিটা বদলে গিয়েছে। বোর্ডের একাংশ টিম ইন্ডিয়ার ব্যর্থতার জন্য পরিবারের সদস্যদের আনাগোনাকেও দায়ী করেছেন। বোর্ডের ধারণা, পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে ক্রিকেটারদের মনঃসংযোগ বিঘ্নিত হচ্ছে। সম্ভবত সেকারণেই বোর্ডের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, বিদেশ সফরে আর পূর্ণ সময়ের জন্য পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে রাখতে পারবেন না ক্রিকেটাররা। ৪৫ দিনের সফরে সর্বাধিক ১৪ দিন পরিবারকে সঙ্গে রাখা যাবে। তার চেয়ে কম দিনের সফর হলে সেটা এক সপ্তাহ।
বোর্ডের এই নির্দেশনামার সঙ্গে একেবারেই একমত নন বিরাট। তিনি বলছেন, "আমার মনে হয় ওরা বুঝতেই পারছে না পরিবারের উপস্থিতি আমাদের জন্য কতটা জরুরি। পুরো ব্যাপারটাই আমি ভীষণ হতাশ। মনে হয়, যাঁরা এই বিষয়গুলোর সঙ্গে কোনওভাবেই যুক্ত নয়, তাঁদের পরামর্শ শোনা হয়েছে। হয়তো তাঁদেরই মনে হয়েছে পরিবারের সদস্যদের জন্য এই খারাপ ফর্ম।" বিরাট বলছেন, "দিনের শেষে ঘরে ফিরে পরিবারের কাউকে পাওয়াটা স্বাভাবিক থাকার জন্য কতটা জরুরি, সেটা হয়তো বোঝানো যাবে না।"
কোহলির মতে, "প্রতিদিন তোমার জীবনে কঠিন কিছু ঘটে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে পরিবার পাশে থাকলে স্বাভাবিক থাকা যায়। স্বাভাবিক থাকলে তবেই তো দায়িত্ব পালন করা যাবে। আমি অন্তত আমার পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর কোনও সুযোগ ছাড়তে চাই না।" বিরাট সাফ বলছেন, "কেউ একা একা বিমর্ষ হয়ে থাকতে চায় না।"