ভারত: ৪৭১/১০ ও ৩৬৪/১০ (রাহল-১৩৭, পন্থ-১১৮, কার্স-৮০/৩, টং-৭২/৩)
ইংল্যান্ড: ৪৬৫/১০ ও ২১/০
জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ৩৫০ রান
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথম ইনিংসের পর ব্যাট হাতে দ্বিতীয় ইনিংসেও দাপট দেখাল ভারতের টপ অর্ডার। লিডসে শুরুতে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন যশস্বী-গিল-পন্থ। দ্বিতীয় ইনিংসে শতরান এল কেএল রাহুল এবং ঋষভ পন্থের ব্যাটে। এমন ব্যাটিং বিক্রমের মাঝেও যদিও মিডল অর্ডার এবং টেল এন্ডারদের দুর্বলতা খানিকটা রয়েই গেল। দুই তারকার সেঞ্চুরির পর মাত্র ৩১ রানে ৬টি উইকেট হারায় ভারত। আর তাতেই ৩৬৪ রানে শেষ ভারতীয় দলের দ্বিতীয় ইনিংস। ফলে টেস্টের চতুর্থ দিনই ব্যাট হাতে নেমে পড়লেন বেন ডাকেটরা। জয়ের জন্য তাঁদের প্রয়োজন ৩৫০ রান।
রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলির মতো অভিজ্ঞ তারকারা ছাড়াই বিলেতের মাটিতে আত্মবিশ্বাসে টগবগ করছে নতুন ভারত। শুভমান গিলের নেতৃত্বে প্রথম থেকেই দুরন্ত ছন্দে দল। দুই ইনিংসে ৫টা সেঞ্চুরি। প্রথম ইনিংসে সাড়ে চারশোর বেশি রান। সাড়ে তিনশো টপকে গিয়েছে দ্বিতীয় ইনিংসে। বাজবল টেস্টের যুগে খেলা গড়িয়েছে পঞ্চম দিনেও। কিন্তু একটা প্রশ্নই এখন চিন্তায় রাখছে ক্রিকেটপ্রেমীদের। এহেন নান্দনিক টেস্ট কি অমীমাংসিত ভাবেই শেষ হবে? নাকি শেষ দিনে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেমে ঘরের দল? কারণ এমন পরিস্থিতি থেকে ভারতকে জিততে হলে কার্যত অগ্নিপরীক্ষা দিতে হবে জশপ্রীত বুমরাহদের।
বিদেশের মাটিতে বহুবার পরিত্রাতার ভূমিকায় ধরা দিয়েছেন বুমরাহ। এবারও তাঁর সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ। কারণ একদিনে ১০টি উইকেট তুলে নেওয়া মুখের কথা নয়, যেখানে আবার পিচ হয়ে গিয়েছে ব্যাটিং সহায়ক। বুমরাহর যোগ্য সঙ্গী হয়ে উঠতে হবে সিরাজ এবং প্রসিদ্ধ কৃষ্ণকে। তবে মঙ্গলবার হেডিংলির আবহাওয়া কেমন থাকে, তার উপরেও অনেকখানি নির্ভর করবে প্রথম টেস্টের ভাগ্য।
গিল যেমন জয়ের লক্ষ্যে ঝাঁপাবেন, বেন স্টোকরাও কিন্তু লক্ষ্যে পৌঁছনোরই চেষ্টা করবেন। ম্যাকালামের তত্ত্বাবধানে এহেন পরিস্থিতিতে বাজবল পারফরম্য়ান্সেই হয়তো ভরসা রাখবে ইংল্যান্ড। তবে ভারত যদি এদিন দ্রুত উইকেট না হারাত, তাহলে হয়তো পঞ্চম দিন আরও খানিকটা নিশ্চিন্ত হয়ে মাঠে নামতে পারতেন গিলরা। এবার দেখার কে শেষ হাসি হাসে।
