সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁকে ছাড়া অসম্ভব ছিল বিশ্বকাপ জয়। শরীরে মারণ ক্যানসার নিয়েও ২০১১ সালে ভারতকে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন যুবরাজ সিং। টুর্নামেন্টের সেরা ক্রিকেটারও হয়েছিলেন। কিন্তু একটা সময় বিশ্বকাপের দলে তাঁর ঢোকা নিয়েই সংশয় ছিল। বিশ্বকাপ জয়ের ১৪ বছর পর বিস্ফোরক প্রাক্তন কোচ গ্যারি কার্স্টেন। শেষ পর্যন্ত কি ভূমিকা ছিল তখনকার অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির?
২০১০ সালটা সেভাবে ভালো যায়নি যুবরাজের। কিন্তু বিশ্বকাপে ৩৬২ রান করার পাশাপাশি ১৫টি উইকেট নিয়েছিলেন। ফাইনালে ৬ উইকেটে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় টিম ইন্ডিয়া। কার্স্টেন বলছেন, "ভাগ্যিস ওকে আমরা শেষ পর্যন্ত দলে নিয়েছিলাম। কারণ, ওকে নিয়ে একটা অনিশ্চয়তা ছিল। নির্বাচকরাও সংশয়ে ছিলেন। শেষ পর্যন্ত কোন ১৫ জন প্লেয়ারকে দলে নেওয়া হবে, তা নিয়ে দীর্ঘ তর্ক-বিতর্ক হয়েছিল।"
কার্স্টেন জানান, তিনি ও অধিনায়ক ধোনি চেয়েছিলেন, যুবরাজ দলে থাকুক। প্রোটিয়া কোচ বলছেন, "ধোনির মতো আমিও খুব করে চেয়েছিলাম যুবরাজকে নেওয়া হোক। তার মূল কারণ ওর অভিজ্ঞতা। আর দেখুন, বিশ্বকাপটা কীরকম খেলল ও। আমি সব সময় যুবরাজের ভক্ত ছিলাম। আমাদের সম্পর্ক খুব ভালো ছিল। মাঝেমধ্যে ও আমার উপর খুব চোটপাট করত। কিন্তু তারপরও ওকে খুব পছন্দ ছিল। আমি শুধু চাইতাম, ও ব্যাটে প্রচুর রান করুক। ওকে ব্যাট করতে দেখতেও খুব ভালো লাগত।"
যুবরাজের সাফল্যের নেপথ্যে যে ওই সময় ভারতের মেন্টাল কন্ডিশনিং কোচ প্যাডি আপটনের ভূমিকা ছিল, সেটাও কার্স্টেন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, "প্যাডি ওকে বিশ্বকাপের জন্য তৈরি করেছিল। যুবি নিজেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।" আর তার ফল দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা ২০১১-র বিশ্বকাপে পেয়েছে।
