নিউজিল্যান্ড: ২৩৫/১০ (মিচেল ৮২, জাদেজা ৬৫/৫, সুন্দর ৮১/৪), ১৭৪ (ইয়ং ৫১, ফিলিপ্স ২৬, জাদেজা ৫-৫৫, অশ্বিন ৩-৬৩)
ভারত: ২৬৩ (শুভমান ৯০, পন্থ ৬০ আজাজ ৩৩/২), ১২১ (পন্থ ৬৪, সুন্দর ১২, আজাজ ৬-৫৭)
নিউজিল্যান্ড ২৫ রানে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাম্প্রতিক অতীতে এত লজ্জার মুখে পড়তে হয়নি ভারতীয় দলকে। শেষবার ২৪ বছর আগে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজে চুনকাম হতে হয়েছিল টিম ইন্ডিয়াকে। ২০০০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে টেস্টে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল শচীন তেণ্ডুলকরের ভারত। মুম্বই টেস্টে ২৫ রানে লজ্জার হারের পর ফিরল ২৪ বছরের আগের লজ্জা। মরিয়া লড়াই করেও দলের মানরক্ষা করতে পারলেন না ঋষভ পন্থ।
১৪৭ রান করলেই অন্তত হোয়াইটওয়াশের মুখে পড়তে হবে না। এই ছিল লক্ষ্যমাত্রা। পিচে যতই ঘূর্ণি থাক, ভারতের তথাকথিত বিশ্বসেরা ব্যাটিং লাইনআপের পক্ষে অন্তত এই রানটা তোলা বিরাট কঠিন কাজ হবে না বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু সমস্যা হল, চলতি সিরিজে একেবারেই ফর্মে নেই টিম ইন্ডিয়া টপ অর্ডার। আগেই বার দুয়েক ব্যাটিং বিপর্যয় হয়েছিল, মুম্বইয়েও একই কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি হল। রোহিত, কোহলি, শুভমান গিলের মতো বাঘা বাঘা ব্যাটাররা শুধু অসহায় আত্মসমর্পণ করলেন বললে কম বলা হবে। ১৪৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খেলতে নেমে টিম ইন্ডিয়া অল আউট হয়ে গেল মাত্র ১২১ রানে। দ্বিতীয় ইনিংস ৩০ ওভারও খেলতে পারলেন না রোহিতরা।
এই ১২১ রানেও ভারত পৌঁছতে পারত না যদি না ঋষভ পন্থ ৫৭ বলে ৬৪ রানের অবিস্মরণীয় ইনিংসটি খেলতেন। পন্থের আগে ভারতের তথাকথিত হিটম্যান, কিং, প্রিন্সরা কেউ ন্যূনতম প্রতিরোধ অবধি গড়ে তুলতে পারেননি। গোটা ইনিংসে দশের গণ্ডি পেরিয়েছেন মাত্র ৩ জন ব্যাটার। রোহিত শর্মা, পন্থ এবং ওয়াশিংটন সুন্দর। বিরাট কোহলি (১), যশস্বী জয়সওয়াল (৫), সরফরাজ খান (১), রবীন্দ্র জাদেজারা (৬) যেন দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফিরে যাওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন।
পন্থ যখন বিতর্কিত ভঙ্গিতে আউট হলেন তখনও জয়ের জন্য টিম ইন্ডিয়ার প্রয়োজন ছিল ৪১ রান। তখনই মোটামুটি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল ম্যাচের ভবিতব্য। শেষ পর্যন্ত অবধারিত ফলাফলেরই সম্মুখীন হতে হল টিম রোহিতকে। শেষপর্যন্ত ভারত অলআউট হল ১২১ রানে। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ভারতের ব্যাটিং বিভাগে ধস নামালেন বাঁহাতি স্পিনার আজাজ প্যাটেল। প্রথম ইনিংসে তিনি পেয়েছিলেন পাঁচ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর শিকার ৬ ভারতীয় ব্যাটার। সার্বিকভাবে ৩ টেস্টেই ব্যাটারদের চরম ব্যর্থতা ডোবাল ভারতকে। ক্রিকেটারদের শরীরী ভাষায় স্পষ্ট, দুএকজন ছাড়া প্রায় সকলেই আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভুগছেন। বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির আগে এই হার মানসিকভাবে বড়সড় ধাক্কা দিয়ে যাবে রোহিতদের।