পাঞ্জাব কিংস ২১৯-৬ (প্রিয়াংশ আর্য ১০৩, শশাঙ্ক ৫২)
চেন্নাই সুপার কিংস: ২০১-৫ (কনওয়ে ৬৯, দুবে ৪২)
পাঞ্জাব কিংস ১৮ রানে জয়ী।

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাহি এলেন। মাহি মারলেন। কিন্তু মাহি জয় করতে পারলেন না। হয়তো যে পরিস্থিতিতে মহেন্দ্র সিং ধোনি ক্রিজে এসেছিলেন, সেখান থেকে সমর্থকদের মনই জেতা যেত, ম্যাচ জেতা যেত না। ১২ বলে ২৭ রানের ইনিংস খেললেন বটে, কিন্তু ধোনিও জেতাতে পারলেন না চেন্নাইকে। পারবেনই বা কী করে, চেন্নাইয়ের পরাজয় সম্ভবত তিনি ক্রিজে আসার আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। প্রথম ইনিংসে পাঞ্জাবের তরুণ ওপেনার প্রিয়াংশ আর্যর অনবদ্য সেঞ্চুরি আর চেন্নাই টপ অর্ডারের মন্থর ব্যাটিং ইয়োলো আর্মির হার নিশ্চিত করে দিয়েছিল। মঙ্গলবার চেন্নাই হারল ১৮ রানে। এই নিয়ে পর পর চার ম্যাচে হারের মুখ দেখতে হল সিএসকে-কে।
মঙ্গলবার ঘরের মাঠে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় পাঞ্জাব। তরুণ প্রিয়াংশ আর্যর অনবদ্য সেঞ্চুরিতে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ২১৯ রান তুলে ফেলে পাঞ্জাব। মাত্র ৩৯ বলে শতরান করেন তরুণ ওপেনার। একদিকে যখন একের পর এক উইকেট পড়ছে, তখন ৭টা বাউন্ডারি এবং ৯টা ওভার বাউন্ডারিতে সাজানো ঝকঝকে ইনিংস উপহার দিলেন তিনি। চলতি মরশুমে এই প্রথম কোনও আনক্যাপড ক্রিকেটার সেঞ্চুরি করলেন। প্রিয়াংশ শতরান করলেন মাত্র ৩৯ বলে। যা আনক্যাপড ক্রিকেটারদের মধ্যে দ্রুততম এবং আইপিএলের ইতিহাসে চতুর্থ দ্রুততম। মূলত প্রিয়াংশের অনবদ্য সেঞ্চুরি এবং শেষদিকে শশাঙ্ক সিংয়ের ৫২ রানের ইনিংসে ভর করে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ২১৯ রানের বিরাট ইনিংস গড়ল পাঞ্জাব। চেন্নাইয়ের হয়ে দুটি করে উইকেট পেয়েছেন খলিল আহমেদ এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুব খারাপ হয়নি চেন্নাইয়ের। প্রথম উইকেটের জুটিতে সাড়ে ছ'ওভারে সিএসকে তুলে ফেলে ৬১ রান। কিন্তু রাচীন রবীন্দ্র ও অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড় দ্রুত আউট হয়ে যাওয়ায় চাপে পড়ে যায় সিএসকে। সেখান থেকে কনওয়ে এবং দুবে সিএসকে-কে ম্যাচে ফেরানোর চেষ্টা করলেও কাজের কাজ হয়নি। দুবে ২৭ বলে ৪২ রান করেন। কনওয়ে ৪৯ বলে ৬৯ রান করেন। কিন্তু চেন্নাই ম্যানেজমেন্ট সেট হওয়ার পর তাঁকে রিটায়ার্ড আউট করে জাদেজাকে ক্রিজে আনার সিদ্ধান্ত নেয়। যদিও সেই সিদ্ধান্ত কাজে দিল না। শেষদিকে মহেন্দ্র সিং ধোনির ওই ২৭ রানের ঝোড়ো ইনিংসেও শেষরক্ষা হল না চেন্নাইয়ের। সিএসকের ইনিংস শেষ হয়ে গেল ২০১ রানে।
এই জয়ের ফলে পাঞ্জাব উঠে গেল চতুর্থ স্থানে। অন্যদিকে চেন্নাই নবম স্থানে পড়ে রইল। ক্রমশ জটিল হচ্ছে মাহিদের প্লেঅফের অঙ্ক।