স্টাফ রিপোর্টার: দশ মাস আগেও শ্রেয়স আইয়ার কেকেআরের জার্সি পরতেন। সোনালি-বেগুনিকে নেতৃত্ব দিতেন। কেকেআর তৃতীয় আইপিএল জিতেছে শ্রেয়সের নেতৃত্বেই। মুশকিল হল, দিন বদলায়। সময় বদলায়। বদলায় ক্রিকেটারের পরিপ্রেক্ষিত। শ্রেয়সেরও বদলেছে। গত মেগা নিলামের আগে আইপিএল জয়ী অধিনায়ককে 'রিটেন' করেনি কেকেআর। শ্রেয়সও আর থাকেননি। কিছুটা অভিমানেই বোধহয়। এরপর নিলাম থেকে বিশাল ২৬ কোটি টাকায় শ্রেয়সকে কিনে নেয় পাঞ্জাব কিংস। এবং আইপিএলের আগে এক সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন কেকেআর অধিনায়ক নিজেও বলে দেন, কেকেআরকে আইপিএল জেতানোর পর যে মর্যাদা তাঁর অধিনায়ক হিসেবে প্রাপ্য ছিল, তা পাননি তিনি।

সেই শ্রেয়স আজ কেকেআরের সামনে। পাঞ্জাবের ঘরের মাঠ মুলানপুরে। নিঃসন্দেহে যাঁর ব্যাটিং থেকে অধিনায়কত্ব-নববর্ষের দিন কেকেআরের পয়লা নম্বর প্রতিবন্ধকতা।
অষ্টাদশ আইপিএলে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকদের দৌড়ে ইতিমধ্যে ঢুকে পড়েছেন প্রাক্তন কেকেআর অধিনায়ক। এ পর্যন্ত ৫ ম্যাচে ৫ ইনিংস খেলে আড়াইশো রান করে ফেলেছেন তিনি। সর্বোচ্চ ৯৭ নটআউট। ব্যাটিং গড় ৮৩। স্ট্রাইক রেট ২০৮। অভিষেক শর্মার একক তাণ্ডবে গত সানরাইজার্স ম্যাচ পাঞ্জাব হেরে গিয়েছে ঠিকই। কিন্তু সেই ম্যাচেও ৩৬ বলে ৮২ করেছিলেন শ্রেয়স। মুলানপুরে এখনও পর্যন্ত দু'টো ম্যাচ খেলা হয়েছে। সেই দু'টোয় দু'শো প্লাস রান উঠেছে। ধরেই নেওয়া যায়, রানের 'ভূস্বর্গ' হবে মুলানপুর বাইশ গজ। যার অর্থ, আবার শ্রেয়স রান করে দিলে অবাক হওয়ার থাকবে না।
খুব স্বাভাবিকভাবে এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে কেকেআরের রামনদীপ সিংকে প্রাক্তন অধিনায়ককে নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হল। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, পূর্বতন নাইট ক্যাপ্টেন শ্রেয়স এবং বর্তমান অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানের মধ্যে নেতৃত্বগত ভাবে পার্থক্য কোথায়? রামনদীপ বলে দেন, "সত্যি কথা বলতে, দু'জনই দারুণ অধিনায়ক। কেউ কারও চেয়ে কম যায় না। অজিঙ্ক শান্ত থাকতে জানে। আমি তো বলব, তরুণদের উচিত জিঙ্কসকে (রাহানেকে যে নামে ডাকা হয়) দেখে শেখা যে, কী ভাবে সব সময় ম্যাচের মধ্যে থাকতে হয়। শ্রেয়স আবার নিজের পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করতে দক্ষ। দু'জনের স্টাইল আলাদা। কিন্তু দু'জনেই ভালো অধিনায়ক।" এবার কেকেআরে গৌতম গম্ভীরের অনুপস্থিতি নিয়েও জিজ্ঞাসা করা হয় কেকেআর অলরাউন্ডারকে। মনে করিয়ে দেওয়া যাক, গত বার নাইট মেন্টর ছিলেন গম্ভীর। বর্তমানে যিনি ভারতীয় দলের হেড কোচ। জবাবে রামনদীপ বলেন, "গৌতম গম্ভীর এমন একজন চরিত্র যে, ওঁর অভাব অনুভূত হবেই। কিন্তু আমাদের ড্রেসিংরুমে এবার ডিজে ব্র্যাভো রয়েছে। ব্র্যাভোর কিন্তু চ্যাম্পিয়নের মতোই মানসিকতা। ব্র্যাভো নিজেই বলে যে, ও চ্যাম্পিয়ন। আর সত্যিই চ্যাম্পিয়ন। ব্র্যাভো সেই মানসিকতা পুরো টিমের মধ্যে ছড়িয়ে দিচ্ছে।"
সব ঠিক আছে। কিন্তু কেকেআর কি পারবে ধারাবাহিকতা দেখাতে? কারণ, টিমটা একটা ম্যাচ জিতলে, পরেরটা হারছে। রামনদীপ উত্তর দেন, "আমরা চেষ্টা করছি উন্নতি করতে। এটুকু আমরা পরিষ্কার জানি যে, ব্যাটাররা ম্যাচ জেতায়। আর বোলাররা জেতায় টুর্নামেন্ট।"