আলাপন সাহা: রাজনীতির ময়দানে তিনি বাজিমাত করেছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে লোকসভা ভোটে জিতেছেন তিনি। এবারও তিনি ভোটে লড়বেন। তবে এবারের লড়াইটা হচ্ছে ক্রিকেট প্রশাসকের। ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে দিল্লি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনে নির্বাচন। সেখানেই এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন সাংসদ কীর্তি আজাদ। আগামী ১৯ নভেম্বর ডিডিসিএ সভাপতির পদে লড়াইয়ের জন্য নমিনেশন জমা দেবেন। সেই কথা নিজেই জানিয়েছেন কীর্তি।
প্রাক্তন এই ক্রিকেটার তথা সাংসদ এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ‘‘আমি ১৪ নভেম্বরই মনোয়ন জমা দিতে পারতাম। কিন্তু নিজের কেন্দ্রে কিছু জরুরি কাজের জন্য সেটা সম্ভব হচ্ছে না। ১৯ নভেম্বর মনোনয়ন জমা দেব।’’ তাঁর কী কী পরিকল্পনা রয়েছে, সে’সবও বিস্তারিতভাবে জানিয়েছেন আজাদ।
বলেন, "ন’টা আলাদা আলাদা অ্যাকাডেমির তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। ক্লাব ক্রিকেটকে আরও বেশি করে প্রমোট করতে হবে। অনেকেই আছেন যাঁরা বাইরে থেকে এখানকার স্কুল-কলেজে ভর্তি হয়ে যাচ্ছে। এখানে থাকছে। তার পর দিল্লি টিমে খেলার জন্য মনোনীত হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু যাঁরা প্রকৃত দিল্লিবাসী তাঁদের মধ্যে থেকে প্রতিভা কোথায় উঠে আসছে? আমাদের সময়ে এখানেই প্রচুর প্রতিভাবান ক্রিকেটাররা থাকতেন। সেটাই আবার ফিরিয়ে নিতে আসতে হবে।’’
দিল্লির ক্রিকেটমহলে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, দিল্লি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট রোহন জেটলির বিরুদ্ধে আজাদের লড়াইটা ভীষণ কঠিন হবে। এখন দেখার বিষয় হল, কার প্যানেলে কারা থাকেন। সেটা প্রচণ্ড গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। একইসঙ্গে দিল্লির ক্রিকেট মহল এটাও মেনে নিচ্ছে যে কীর্তি আজাদের প্রেসিডেন্ট পদে লড়ার জন্য, লড়াইটা জমজমাট হতে চলেছে। আজাদ নিজেও জানেন যে রোহন জেটলি প্রতিপক্ষ হিসেবে বেশ কঠিন। তবে প্রাক্তন এই ক্রিকেটার কোনওভাবেই পিছিয়ে আসতে চান না। বরং প্রেসিডেন্টের পদের লড়াইতে জিতে দিল্লি ক্রিকেটকে আরও শক্তিশালী করতে চাইছেন আজাদ।